আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে এনসিপি দেবে নতুন কর্মসূচি

বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ, ২০২৫ ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঈদের পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং দলের নেতারা সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের বিষয়ে আলোচনা করতে সতর্ক থাকবেন।
জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে এনসিপি। তবে, তারা নির্বাহী আদেশের বদলে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুলবে এবং এই দাবিতে কর্মসূচি পালন করে যাবে।
এনসিপি চায়, বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো যেন রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারে। তারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের যে কোনো চেষ্টা প্রতিহত করার সংকল্পবদ্ধ। বর্তমানে দলটি নিবন্ধন বাতিলের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যদিও তারা জানে যে পরে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
সামান্তা শারমিন, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, বলেন, "আমরা এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি, কিন্তু পরবর্তীতে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দিকেই এগোতে হবে।"
এনসিপির নেতারা সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বিরুদ্ধে কিছু প্রচার সমর্থন করবেন না এবং বিরাজনীতিকরণ ও রাজনীতির সামরিকীকরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। ২০ মার্চের পরে, নাহিদ ইসলাম, এনসিপির আহ্বায়ক, বলেন যে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কোনো পরিকল্পনা করা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এনসিপির নেতারা এবারের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি অগ্রসর করতে চাইছেন। ২২ মার্চ পুরান ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইফতার অনুষ্ঠানে এবং শাহবাগে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের এক নেতা জানিয়েছেন, ঈদের পবিত্রতা পরে তারা একটি বড় কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে, হাসনাত আবদুল্লাহর সাম্প্রতিক পোস্ট নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের পর, এনসিপির নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে যে সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তারা মনে করেন যে এর ফলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়তে পারে এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমেই নিতে হবে।
সামগ্রিকভাবে, এনসিপি ঈদের পর আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয় বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচিগুলি সামনে নিয়ে আসবে। যেসব কর্মসূচি হবে সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে দলটি বিশেষভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আগ্রহী।
১৩৬ বার পড়া হয়েছে