সর্বশেষ

প্রযুক্তি

স্টারলিংকে আড়ি পাতার সুযোগ রেখে নতুন নির্দেশিকা জারি

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ, ২০২৫ ৪:১৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা চালু করার জন্য নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে, যা আইনানুগ আড়ি পাতার সুযোগ রাখে।

এ নির্দেশিকাটি বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্টারলিংক সেবা চালুর পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের বাজারে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্টারলিংক হলো ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। স্টারলিংকের সেবা বাংলাদেশে চালু করতে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

নতুন নির্দেশিকার নাম হলো ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইনস ফর নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ’। এই নির্দেশিকায়, স্যাটেলাইটভিত্তিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে আড়ি পাতার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৬(৪) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে সরকারের নির্ধারিত সংস্থা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তথ্য প্রদান করতে হবে এবং সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি থাকা বাধ্যতামূলক হবে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১, ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইন ১৯৩৩, টেলিগ্রাফ আইন ১৮৮৫–এর পাশাপাশি অন্যান্য প্রযোজ্য আইন, বিধি এবং নীতি অনুসরণ করতে হবে। এই সেবা চালু করতে হলে, প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অন্তত একটি গেটওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং স্থানীয় গেটওয়ে ব্যবহার করে সেবা প্রদান করতে হবে।

নতুন নির্দেশিকায় লাইসেন্স ফি, আবেদন ফি এবং বার্ষিক নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদন ফি ৫ লাখ টাকা, লাইসেন্স ফি ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক নিবন্ধন ফি ব্রডব্যান্ড সেবার জন্য ৩০ হাজার ডলার এবং আইওটি সেবার জন্য ১০ হাজার ডলার। প্রথম দুই বছর বিটিআরসির সঙ্গে কোনো রাজস্ব ভাগাভাগি না করলেও, তৃতীয় বছর থেকে ৩% এবং ষষ্ঠ বছর থেকে ৫.৫% রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হবে। লাইসেন্সটি ১০ বছরের জন্য দেওয়া হবে এবং প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে ৫ বছর সেবা চালাতে হবে।

এছাড়া, আড়ি পাতার নিয়ম নিয়ে বিভিন্ন অধিকারকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, আড়ি পাতার জন্য স্পষ্ট নীতির প্রয়োজন, যাতে জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি না হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেছেন, আড়ি পাতার নীতি যদি পরিষ্কার না হয়, তবে পূর্বের মতনই অযাচিতভাবে তা ব্যবহৃত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট বন্ধের ক্ষমতা স্পষ্ট করা উচিত।

১৩৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
প্রযুক্তি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন