সর্বশেষ

জাতীয়

শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষবিদায় জানানো হয় সন্‌জীদা খাতুনকে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫ ১১:৫২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
অশ্রুসিক্ত চোখে এবং ফুলে ভরা হাতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন ছায়ানটের সংগীতজ্ঞ সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ।

উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, শিল্পী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ।

বেলা আড়াইটায় সন্‌জীদা খাতুনের কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে বিকেল চারটা পর্যন্ত তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। তার আগে, ছায়ানট থেকে কফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ হিমঘরে পাঠানো হয়। তার অনেক পরিবারের সদস্য দেশের বাইরে থাকায়, তারা দেশে ফিরলে দাফনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ছায়ানটে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ফাহমিদা খাতুন, রা‌মেন্দু মজুমদার, খুর‌শীদ আলম, শাহীন সামাদ, সেলিনা মালেক চৌধুরী, ইফফাত আরা দেওয়ান, মিনু হক, খায়রুল আনাম শাকিল, শামীম আরা নীপা, শিবলী মহম্মদসহ আরও অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সু‌রের ধারা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাকা থিয়েটার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, কণ্ঠশীলনসহ আরও কয়েকটি সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের এই বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত হন। আগামী ৪ এপ্রিল ছিল তার ৯৩তম জন্মদিন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সেই দিনেই তার শোকসভা হবে। ছায়ানট স্মরণসভা করার পরিকল্পনা করেছে, তবে এখনও সময় নির্ধারণ করা হয়নি।

সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তার বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক, মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্‌জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল এবং দীর্ঘকাল ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন।

১৪০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন