ছুটিতে শহরে নিরাপত্তায় থাকছে র্যাব, এপিবিএন, ডিবিসহ ১৫ হাজার পুলিশ

বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটিতে রাজধানীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অপরাধ প্রতিরোধে শহরে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশিচৌকি স্থাপন ও টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে, যা অনেক বাসিন্দাকে শহর ছাড়তে উৎসাহিত করবে। এর ফলে বাসাবাড়ি, ফ্ল্যাট ও অফিস ফাঁকা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ডিএমপি ঈদের আগে ও পরে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, "পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবে, তবে বাড়ি, দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালিকদেরও নিতে হবে। আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করব।"
ডিএমপি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতের বেলায় টহল কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া নগরীর সোনার দোকান, বিপণিবিতান ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতেও কড়া নজরদারি থাকবে।
ঈদের সময় বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে বাড়তি পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে রাস্তায় তল্লাশি কার্যক্রম এবং স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানান, এবার নতুন ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ বিপণিবিতানের নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকবে। রাজধানীর প্রধান সড়ক, আবাসিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬০০টি পুলিশ টহল দল ও ৭৫টি তল্লাশিচৌকি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ফাঁকা হয়ে গেলেও শহরের শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে।
১৩৬ বার পড়া হয়েছে