২৪ দিনেই মাসের রেকর্ড ভেঙেছে প্রবাসী আয়

বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫ ৫:২২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আগের রেকর্ড অতিক্রম করেছে একক মাসের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স, এবং মাত্র সাত দিন বাকি থাকতে এটি ঘটেছে।
চলতি মাসের ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা মোট ২৭৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলারের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। রেমিট্যান্সের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভও আবার ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের ওপরে উঠে এসেছে। অন্যদিকে, ডলারের মূল্য এখন ১২২ টাকায় স্থিতিশীল হয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাকি সাত দিন যদি একই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, তবে চলতি মাসে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে, যা মাসের হিসেবে একটি বড় রেকর্ড সৃষ্টি করবে। গত বছরের মার্চ মাসে ২৪ দিনে এসেছিল ১৫৫ কোটি ডলার, আর পুরো মাসে এসেছিল ২০০ কোটি ডলারের কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেছেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলস্বরূপ ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যে পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে, তা হুন্ডির মাধ্যমে পাওয়া অর্থের চেয়ে বেশি। রপ্তানি আয়ের বৃদ্ধি এবং হুন্ডির চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে এবং রিজার্ভও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।
এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২,১২৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১,৬৬২ কোটি ডলার। এতে করে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪৬১ কোটি ডলার বা ২৭.৭০ শতাংশ। গত ৫ আগস্টের পর থেকে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের মতো করোনার পরবর্তী সময়ে আবার রেমিট্যান্সে বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে আকু (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) এর দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৯.৭০ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করছে না এবং ৩৩০ কোটি ডলার বকেয়া পরিশোধ করেছে।
একজন বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অর্থ পাচার প্রতিরোধে সরকার খুবই সক্রিয়। ১১টি যৌথ বিশেষ টিম কাজ করছে, যার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সরকারের এসব উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
১৩৬ বার পড়া হয়েছে