কেরানীগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে তিন বছর আগে মারিয়া নামে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করার ঘটনায় দোষী তিনজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪।
মঙ্গলবার সকালে বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের পুত্র মো. সজিব, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর পুত্র মো. রাকিব এবং শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের পুত্র শাওন, যিনি ভ্যালকা শাওন নামেও পরিচিত।
এছাড়া, মরদেহ গুমের ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড না প্রদান করলে অতিরিক্ত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, আলী আকবর ও মো. রিয়াজ বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) এই সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ এবং শাওনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার সূত্র অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আঁটিবাজার এলাকায় টহল পুলিশ জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে খবর পায় যে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে এক নারীর মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে। ভুক্তভোগী মারিয়ার পরিচয় শনাক্ত করা হয় এবং তার বান্ধবী বৃষ্টি আক্তার সাক্ষ্য দেন। পরে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়, সে আদালতে স্বীকার করে যে তার সঙ্গে রাকিব, সজিব এবং আলী আকবর মিলে মারিয়াকে হত্যা করেছে। এরপর অন্যান্য আসামিরাও একই কথা বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর অলক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে।
১৩৭ বার পড়া হয়েছে