শঙ্কামুক্ত হয়েছেন তামিম ইকবাল, রাতেই আনা হতে পারে ঢাকায়

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫ ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
অবশেষে স্বস্তির খবর এসেছে, হার্ট অ্যাটাকের পর তামিম ইকবাল এখন শঙ্কামুক্ত।
গতকাল (সোমবার) ডিপিএল ম্যাচ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখার পর হৃদযন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে এবং জরুরি ভিত্তিতে রিং পরানো হয়। চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন যে, তামিম পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নয়। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে জানা গেছে, তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল এবং তিনি শিগগিরই হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
সাভারের কেপিজে হাসপাতালে (পূর্বের নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতাল) তামিমকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। গত রাতের পর তার অবস্থার উন্নতি ঘটে। আজ সকালে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় এবং কিছুক্ষণের জন্য হাঁটাও করেছেন তিনি। তার পরিবারও তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, তামিম এখন বিপদমুক্ত এবং আশা করা হচ্ছে তিন মাসের মধ্যে তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন। তবে ডা. আবু জাফর তার দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতার জন্য সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, "প্রথম ইসিজিতে কোনো বড় পরিবর্তন ধরা পড়েনি, কিন্তু আজ সকালে ইকো রিপোর্ট ভালো এসেছে। তবে যেকোনো সময় কিছু হয়ে যেতে পারে। তাই আমি এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছি এবং তার পরিবারকে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে চেষ্টা করেছি। পরবর্তী ব্যবস্থা এখন তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।"
গতকাল শাইনপুকুরের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তার হৃদযন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে এবং চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ডা. মারুফের চিকিৎসা এবং মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুবের সিপিআর দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কারণ সিপিআর না হলে মস্তিষ্কে জটিলতা তৈরি হতে পারত।
মোহামেডানের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন জানিয়েছেন, তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে শিগগিরই ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ডে নেওয়ার বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে।
১৪০ বার পড়া হয়েছে