দুই ছাত্রনেতা সেনাপ্রধানের সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করেন, তা জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত: নুরুল হক

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫ ১:১২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আশঙ্কা করেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল এবং সদ্য গঠিত সংগঠনগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আবারও অস্থির করে তুলতে পারে।
আজ সোমবার বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণ অধিকার পরিষদের স্থানীয় কমিটির কর্মিসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে নুরুল হক বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত সরকারের অভাবে বিভিন্ন মহল সরকার বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং বিশেষ করে হাসনাত, সারজিস, কিংবা ছাত্রদের দ্বারা গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির মতো দলগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলছে।
নুরুল হক জানান, জাতা-আগস্ট আন্দোলনের সময় কিছু ছাত্রনেতাদের সেনাবাহিনীর দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের বিষয়টি জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, তাদের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পেছনের কারণ এবং আলোচনা কী ছিল, তা জাতির সামনে উন্মোচন করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, ‘৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ৯০ দশকের স্বৈরশাসক এরশাদকে তখনকার সেনাপ্রধান নুরুদ্দিন খান যেমন পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন, বর্তমান সেনাপ্রধানও শেখ হাসিনাকে একই ভাবে ৪ আগস্ট জানিয়েছিলেন। বর্তমান সময়ে সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে এ ধরনের বক্তব্য আসা খুবই সংকটজনক।’
নুরুল হক নুর বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান হচ্ছে এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজনৈতিক বিভাজন কমিয়ে জাতীয় সংলাপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যা ঈদের আগে সম্পন্ন হওয়া উচিত।
এছাড়াও, কর্মিসভায় গণ অধিকার পরিষদের স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
১৩৯ বার পড়া হয়েছে