গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫ ৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনের গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত নাসের হাসপাতালে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের বিমান হামলা হয়।
এই হামলায় হামাসের অর্থবিষয়ক প্রধান ইসমাইল বারহুম এবং তাঁর একজন সহযোগী নিহত হয়েছেন, বলে হামাসের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন।
ইসমাইল বারহুম কয়েক দিন আগে অপর এক ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গুপ্তচর তথ্যের ভিত্তিতে হামলা চালিয়েছে, যেখানে তারা হাসপাতালের ভেতরে বিচরণরত একজন গুরুত্বপূর্ণ হামাস সদস্যকে টার্গেট করেছে। সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাঁরা কম ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত করতে সক্ষম অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় বেশ কয়েকজন চিকিৎসাকর্মীসহ অন্য ব্যক্তিরা আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালের একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালের ক্ষতিগ্রস্ত শাখাটি খালি করে দেয়া হয়েছে। বিবিসির যাচাইকৃত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হামলার পর লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, হামাস হাসপাতালগুলোকে অস্ত্রাগার ও কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে, যদিও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
এদিকে, একই দিনে খান ইউনিসে আরেকটি ইসরায়েলি হামলায় হামাসের নেতা সালাহ আল-বারদাউইলও নিহত হয়েছেন। হামাসের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রবিবার সকাল পর্যন্ত গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় ৩০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে হাসপাতাল হামলার পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত নয়।
গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে, যা প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটায়। এরপর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা শতাধিক পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল হামাসকে অভিযুক্ত করেছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাস ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির মূল চুক্তি ভঙ্গ করার জন্য।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজার যুদ্ধ শুরু হয়, যেখানে প্রায় ১ হাজার ২শ' ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। হামাসের দাবি, এর পর থেকে গাজার ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে।
১৩৩ বার পড়া হয়েছে