সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাত ও সারজিসের ফেসবুক পোস্টে এনসিপিতে অস্বস্তি

রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫ ২:৪১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে তাদের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিশাল বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।
এই পোস্টগুলো নিয়ে দলের অভ্যন্তরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে, অনেক নেতাই তাদের বক্তব্যকে 'ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অর্জনের রাজনীতি' বলে অভিহিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পেজে লেখেন যে ১১ মার্চ তিনি এবং তাঁর সহযোদ্ধাদেরকে সেনানিবাসে ডাক দিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার এই পোস্টের পর ব্যাপক আলোচনা হয়। এর জবাবে সারজিস আলমও এক পোস্টে বলেন, তার মতে ফেসবুকের মাধ্যমে আলোচনা এই প্রক্রিয়াটি ঠিক হয়নি এবং এটি দলের শিষ্টাচারের পরিপন্থী।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এই বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে লেখেন, “এগুলো কী ভাই! দুজনের একজন মিথ্যা বলছেন। বেড়াজালে পড়া উচিত নয়, আমাদের সঠিকভাবে দলকে উন্নতির দিকে নিতে হবে।”
দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ডিসপ্লে হওয়া এসব মন্তব্য নেতাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে। নেতারা প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে এই ধরনের ব্যক্তিগত পোস্টে দলীয় নীতির বিপরীতে যাবেন তারা। কয়েকজন নেতা এতে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “এভাবেই আমাদের দলের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।”
নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলাকালীন কেউ কেউ বলেন, “আমাদের একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতি সবার আস্থা রাখতে হবে। হাসনাত ও সারজিসের প্রকাশ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ নয়। ভবিষ্যতে যদি কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় করে, তাহলে আমরা বিপদে পড়ব।”
দলের অভ্যন্তরে চলমান এই অস্বস্তির মধ্যে, সোমবার সারজিস আলম আবারও পোস্ট করে মৌলিক প্রশংসা ও সমালোচনার মিশ্রণে তাঁর দলীয় অনুভূতি তুলে ধরেন। এর ফলে দলের নেতারা আলোচনা করেছেন, এনসিপিকে কি সত্যিই একটি সঙ্গতিপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে দগ্ধ হওয়ার সম্ভাবনার মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে, সেনাপ্রধানের কাছ থেকে জানিয়েছেন যে, তারা “শুধু রাজনৈতিক স্ট্যান্ট” হিসেবে দেখছেন হাসনাতের পোস্ট। এভাবে এনসিপির নেতারা নিজেদের মধ্যে দুভিন্ন মতভেদের জন্ম দিয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে দলের নেতৃত্বের একতা ও শান্তিকে বিঘ্নিত করতে পারে।
বিষয়টি প্রসঙ্গে একজন শীর্ষ নেতার মন্তব্য, “এখনই সময়, যাতে আমরা পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও সঙ্গতি বজায় রাখি।” তিনি আশা করেন যে, শিগগিরই এই বিষয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে এবং এনসিপির মধ্যে শৃঙ্খলা তৈরি করা সম্ভব হবে।
১৪৪ বার পড়া হয়েছে