সর্বশেষ

জাতীয়

টিকিটের বিড়ম্বনা না থাকালেও মহাসড়কে আছে ডাকাতির ভয়

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫ ৩:৪৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
প্রতি বছর ঈদের সময় ট্রেন, বাস এবং লঞ্চের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে ঘরোয়া মানুষের যে ভোগান্তি দেখা যেত, এবারে তা লক্ষ্য করা যায়নি।

এবার অনলাইনে ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং বেশিরভাগ নামকরা পরিবহন কোম্পানির বাসের প্রায় ৮০ শতাংশ টিকিটও বিক্রি হয়েছে অনলাইনে। অন্যদিকে, লঞ্চের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো বড় অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ঈদের সময়ে ট্রেন, বাসসহ অন্যান্য পরিবহনগুলোতে কয়েক কোটি মানুষ যাতায়াত করবে। কিন্তু এবারে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের মধ্যে আছেন বাস মালিকরা, কারণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তারা চিন্তিত।

সম্প্রতি, দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস এবং পণ্যবাহী যানবাহনে ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খাতের অনেকেই এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে রাতের দূরপাল্লার বাসে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঝুঁকি বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

সেভ দ্য রোডের একটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৪ হাজার ৫০৫টি ছিনতাই ও ২৫৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সড়কপথে ১ হাজার ৮৬৮টি ছিনতাই এবং ১১৩টি ডাকাতির ঘটনা হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৬৮ জন আহত হয়েছেন এবং ২ হাজার ৪৩২টি ছিনতাই ও ৩৫টি ডাকাতির ঘটনায় ১ হাজার ১৭ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর তথ্যমতে, গত বছর জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের নিবন্ধিত যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ৪৭৪টি, যার মধ্যে আন্তঃজেলা বাস প্রায় ২২ হাজার ছিল এবং রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় চলাচলকারী বাসের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।

ঈদের যাত্রায় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি জানায়, রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় একদিনে প্রতিটি বাস তিনটি করে ট্রিপ দেবে এবং প্রতিটি ট্রিপে গড়ে ৪০ জন যাত্রী পরিবহন করবে। এভাবে ১০ হাজার বাসে দিনে ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে। তবে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের আতঙ্ক নিয়ে যাত্রীসেবা দিতে হবে।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, তারা ২০০৫ সাল থেকে মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে ডাটা বিশ্লেষণ করে ১ হাজার ৪৪৩ জন অপরাধীর তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকা অনুযায়ী অভিযান চলছে। হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, "মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই বন্ধ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। নতুন ৭০০ ফোর্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং জেলা পুলিশদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে টহল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং ৩ হাজার ৯০০ কিলোমিটার মহাসড়কে সাড়ে ৩০০ টহলদল কাজ করছে। ঈদ যতই নিকটে আসবে, তত বেশি টহলদল মাঠে থাকবে। তারা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।"

তিনি আরও জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১ হাজার ৪০০টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৩৫০টি ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে। ঢাকা-মাওয়া সড়কে সড়ক কর্তৃপক্ষের ক্যামেরা সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া, মহাসড়কে ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে কোথাও কোনো অনিয়ম বা নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

১৩৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন