যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজা হামলার সবশেষ পরিস্থিতি

শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫ ৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত মন্তব্য করেছেন, যদি হামাস তাদের অস্ত্র পরিত্যাগ করে, তবে তারা গাজায় সাময়িকভাবে অবস্থান করতে পারে।
ইসরায়েলি বাহিনী তাদের সাম্প্রতিক হামলায় হামাসের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে। তবে, হামাস এখনও এই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
এছাড়া, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের দিকে আরও কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যদিও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে যে, তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
গাজার একমাত্র ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র ‘তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ এবং এর পাশে অবস্থিত একটি মেডিকেল স্কুল ইসরায়েলি বিমান হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল দাবি করছে, ওই এলাকায় হামাসের উপস্থিতি ছিল।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে যে, হাসপাতাল ও মেডিকেল স্কুলের অবকাঠামো একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে, এই হামলায় কতজন নিহত বা আহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, হামাস জানিয়ে দিয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের নতুন একটি ‘সমঝোতার প্রস্তাব’ পর্যালোচনা করছে, যদিও প্রস্তাবের বিস্তারিত শর্তগুলি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে এই হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে যে, ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২০০ শিশু এবং ১১০ নারী নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থেকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা শুরু হওয়ার পর প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৬১৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম জানাচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃতদের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করেছে যে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি অপহৃত হয়েছেন।
১৫৩ বার পড়া হয়েছে