রাজধানীতে শিশু ধর্ষণের মামলায় গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলার পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা জারি করে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
কেন্দ্রীয় প্রসিকিউটর মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, "ধর্ষকের জন্য কোনো দয়া নেই। ধর্ষকদের জন্য আরও কঠোর শাস্তি থাকতে হবে যাতে তারা এমন কাজ করার সাহস না পায়। আমরা আজকের রায়ে সন্তুষ্ট।"
অন্যদিকে, আসামির আইনজীবী ইমরান হোসেন বলেছেন, "এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই এবং উচ্চ আদালতে আপিল করব। আমরা আশা করি সেখানে ন্যায়বিচার হবে এবং আসামি খালাস পাবেন।"
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটির বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুর বাবা-মা বাসার সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এই সময় হঠাৎ জাহিদুলকে দ্রুত বের হয়ে যেতে দেখে তারা। পরে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে চলে যান এবং শিশুটি ধর্ষণের কথা জানায়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার তদন্ত করে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। মামলাটি চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
১১৬ বার পড়া হয়েছে