সর্বশেষ

সারাদেশ

নারায়ণগঞ্জে আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ৯ জন গ্রেফতার 

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫ ৩:১০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মিয়ানমার কেন্দ্রিক রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পাশাপাশি, আরও ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

এই অভিযানটি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার এলাকায় পরিচালিত হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি আবাসিক এলাকার ভূমিপল্লি টাওয়ার থেকে আতাউল্লাহসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, একটি চাকু এবং একটি স্টিলের ধারালো চেইন উদ্ধার করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, আতাউল্লাহ আরসার প্রধান এবং রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার নির্দেশদাতা। তার বিরুদ্ধে চারজন আসামির জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ডিজিএফআই কর্মকর্তা রিজওয়ান রুশদী হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। আটক হওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন আরসা সদস্য মোস্তাক আহাম্মদ, মনিরুজ্জামান, সলিমুল্লাহ, মোসাম্মৎ আসমাউল হোসনা, মো. হাসান, আসমত উল্লাহ, হাসান ও মোসাম্মত শাহিনা।

মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি এলাকায় ভাড়া থাকতেন, সলিমুল্লাহ ও মোসাম্মত শাহিনা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তাদের বিরুদ্ধে দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে আতাউল্লাহকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে হাজির করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ ময়মনসিংহের নতুন বাজার গার্ডেন সিটি এবং নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। আদালতে দুই মামলায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৩০টি চৌকিতে হামলা চালানো হয়, যার পর সেনাবাহিনী ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। এই হামলার পর ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই সময়েই আরসা প্রথমবার আলোচিত হয়। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আগে ‘ফেইথ মুভমেন্ট’ নামে তাদের কার্যক্রম চালাত, যা স্থানীয়ভাবে ‘হারাকাহ আল ইয়াকিন’ নামে পরিচিত ছিল।

মিয়ানমার সরকার আরসাকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের রিপোর্টে বলা হয়, আরসা গঠিত হয়েছে সৌদি আরবে থাকা রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে, যেখানে ২০ জন নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গা মক্কায় বসবাস করতেন। সংগঠনের নেতা আতাউল্লাহ, যিনি আবু আমর জুনুনি নামেও পরিচিত, তার পরিবার রাখাইন থেকে পাকিস্তানের করাচিতে চলে যায়। আতাউল্লাহ মক্কায় বড় হয়েছেন এবং সেখানে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। তিনি উর্দু এবং আরবি ভাষায় দক্ষ এবং তার একটি ইউটিউব ভিডিও থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে, তিনি উর্দু ও আরবি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন।

১৫২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন