সর্বশেষ

জাতীয়

আজ যমুনা নদীর উপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫ ৩:৪০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ মঙ্গলবার যমুনা নদীর উপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেতুর উদ্বোধন করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি এবং জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক আইট টেরুইউকি। স্বাগত বক্তব্য দেবেন যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান, এবং সমাপনী বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১:২০ মিনিটে অতিথিরা উদ্বোধনী ট্রেনে যমুনা রেলসেতু পার হয়ে পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ রেলস্টেশন পর্যন্ত যাত্রা করবেন। সয়দাবাদ রেলস্টেশনে দুপুর ১১:৪০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং দুপুর ১২টায় অতিথিরা ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনে ফিরে আসবেন।

যমুনা নদীতে বর্তমান সড়ক সেতুর পাশেই এই নতুন রেল সেতু নির্মিত হয়েছে, যেখানে দুটি ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক রয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সেতুর একটি ট্র্যাক দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর আগামীকাল থেকে পুরো সেতুতে ট্রেন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানিয়েছেন, সেতু পার করতে ট্রেনের ২-৩ মিনিট সময় লাগবে, এবং সেতুর দুই প্রান্তের স্টেশন ইব্রাহিমাবাদ ও সয়দাবাদের মধ্যে ১৩ কিলোমিটার পার করতে ৭ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। এর ফলে আগে যমুনা সড়কসেতু পার করতে যেখানে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগত, সেখানে এখন সময় অনেক কমে যাবে। নতুন সেতু চালু হওয়ায় পুরানো সড়ক সেতুর রেলপথে আর ট্রেন চলাচল করবে না।

যমুনা সড়ক সেতু ১৯৯৮ সালে চালু হয় এবং পরবর্তীতে রেলপথ যুক্ত করা হয়, যা ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। তবে ২০০৬ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। নতুন রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৬ সালে, যার প্রথম নকশা প্রণয়ন এবং নির্মাণ ব্যয় ছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ৭২ শতাংশ অর্থায়ন করেছে, এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

নতুন যমুনা রেল সেতু ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান নিয়ে নির্মিত হয়েছে, যেখানে ট্রেন চলাচলের জন্য ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতির অনুমতি রয়েছে, যদিও সেতুতে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। সেতু চালু হওয়ায় রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে অধিক সংখ্যক আন্তঃনগর ও মালবাহী ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।

 

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন