সীমান্তে থেমে নেই বিজিবির কঠোর অভিযান, ১১ লাখ টাকার পণ্য জব্দ

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫ ১:০২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি'র টানা অভিযানে দেশ থেকে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
ফুলতলী, জারুলিয়া ছড়ি ও ভাল্লুক খাইয়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে চলমান এই বিশেষ অভিযানে গরু, সয়াবিন তেল, পাম্প তেল, সাবুদানা, এবং একটি মোটরসাইকেলসহ মোট ১১ লাখ টাকারও বেশি পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
সোমবার (১৭ মার্চ) ভোরে আলাদা অভিযানে ১১ বিজিবি'র টহল দল তুলাতলি সড়ক থেকে ১ হাজার ৩৫০ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করে। এছাড়া, ফুলতলী ও জারুলিয়া ছড়ির বিওপি সদস্যরা সীমান্ত সড়ক, রোহিঙ্গা টেইলা এবং বক্কর টেইলা থেকে ৫টি গরু, একটি মোটরসাইকেল, ১৭৫ কেজি সাবুদানা, ১৪০ লিটার পাম্প তেল, এবং ৮৭ পিস মেহেদি জব্দ করেন। জব্দকৃত সম্পদের মোট মূল্য ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ শ' টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েসের নির্দেশনায় এই অভিযানের অংশ হিসেবে টহলদল এবং বিওপির সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি চালাচ্ছেন। সচেতন মহলের অভিযোগ, সীমান্তে চোরাকারবারীরা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে এবং বিজিবি'র কার্যক্রমকে ব্যহত করার চেষ্টা করছে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন যে, ১০০ জনেরও বেশি চোরাচালানির গ্যাং নেতা রয়েছে, যারা গর্জনিয়া বাজারের ১৫-২০ ব্যবসায়ী, শতাধিক সিএনজি ও মোটরসাইকেল চালকসহ চোরাচালানের সাথে জড়িত। যদিও অতীতে ফুলতলী, ভাল্লুক খাইয়া ও জারুলিয়া ছড়ি সীমান্তে বিজিবির কার্যক্রম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও, নাইক্ষ্যংছড়ির সদর বাজার, চাকঢালা বাজার, ঘুমধুম বাজার, তুমব্রু বাজার ও লেবুছড়ি বাজার থেকে এখনও রাত-দিন মালামাল পাচার হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু স্থানীয় মানুষের সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদেরও এ পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সচেতন মহল বিজিবির কঠোর নজরদারি ও অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।
বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন পণ্য এবং বার্মিজ গরু জব্দ করার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১১৫ বার পড়া হয়েছে