হেলিকপ্টারে বাড়ি যেতে ভাড়া কত টাকা লাগবে, চলছে ঈদের বুকিং

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫ ৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কয়েক বছর ধরে ঈদ উপলক্ষে দেশে হেলিকপ্টারের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যরা, বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা এবং রাজনৈতিক নেতারা এখন ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারকে এক নতুন মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
যদিও হেলিকপ্টারে চড়ে আসার সংখ্যা অনেক কম, তবে এ নিয়ে জনসাধারণের আগ্রহ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই হেলিকপ্টার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের সময় অধিক মনোযোগ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এবারের ঈদের জন্যও বেশ কয়েকটি কোম্পানি বুকিং নিতে শুরু করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, এবারের ঈদে দেশের সব জেলাতেই হেলিকপ্টার সেবা প্রদান করা হবে। ঢাকা থেকে যে কোন জায়গায় পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টা লাগতে পারে। আসনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ঘণ্টায় ভাড়া ৮৫ হাজার টাকা থেকে সোয়া দুই লাখ টাকার মধ্যে নির্ধারিত হয়।
গত বছর ঈদুল ফিতরের সময়ে অনেকেই হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন, এবং এ বছরও বাড়তি চাহিদা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে এবারের হেলিকপ্টারের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে, কিন্তু ভাড়া বেড়ে গেছে।
হেলিকপ্টারের বুকিং সাধারণত ১৫ রোজার পর শুরু হয়, তবে শেষ ১০ দিনে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফিরতি ভ্রমণের জন্যও বুকিংয়ের আগ্রহ রয়েছে।
মেঘনা এভিয়েশনের ব্যবস্থাপক মীর মোহাম্মদ ইফতেখারুল সাদেক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বুকিং তুলনামূলকভাবে কম, তবে আশা করা হচ্ছে ১৫-১৬ রোজার পর তা বাড়বে। ঈদের দিন ছাড়া অন্যান্য দিন তাদের সেবা চালু থাকবে।
ইমপ্রেস এভিয়েশনের মো. ইমরান হোসেন জানান, গত বছরের মতো এবারও হেলিকপ্টার ব্যবহারের চাহিদা রয়েছে, তবে কিছু কোম্পানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে কিছুটা সংকট সৃষ্টি হবে।
ভাড়ার ব্যাপারে সাধারণত সিট সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টার জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। চারটি সিটের জন্য ৮৫ হাজার টাকা, ছয় সিটের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং সাত সিটের জন্য সর্বাধিক সোয়া দুই লাখ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। যাত্রীরা ৪০-৫০ কেজি ওজনের মাল নিয়ে যেতে পারেন, তবে ব্যাগের আকার ছোট হতে হবে।
এই বছর ভাড়া কিছুটা বেড়ে গেছে, যা ১০-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হেলিকপ্টার কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, ব্যবসা লাভজনক নয় এবং যাত্রীভাড়ার উল্লেখযোগ্য অংশ শুল্ক-কর হিসেবে দিতে হয়।
এসব সেবার জন্য দেশে ১৩টির বেশি বেসরকারি কোম্পানি হেলিকপ্টার পরিষেবা দিচ্ছে, কিছু কোম্পানির কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে।
বুকিংয়ের জন্য যাত্রীদের অন্তত দুদিন আগে বুকিং দিতে হয়, এবং জরুরি পরিস্থিতিতে এক ঘণ্টার নোটিশেও সেবা নিতে পারবেন। রাজধানীর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টার ওঠানামা হয়, তবে শহরের বাইরের সুবিধাজনক স্থান থেকেও উড্ডয়ন করতে পারে।
১৭৩ বার পড়া হয়েছে