সর্বশেষ

জাতীয়

বামপন্থী ছাত্র, শ্রমিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের গণমিছিল স্থগিত, শহীদ মিনারে সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র, শ্রমিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

গণমিছিল না করার সিদ্ধান্ত নিলেও সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ আয়োজন করেন। এ সমাবেশ থেকে গণমিছিল স্থগিতের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহিদ শাহরিয়ার রেজা।

আজ শনিবার, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মিনারের পাদদেশে সমাবেশ শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ১২টায় শেষ হয়। তারা হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে দিনটিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বামপন্থী ছাত্র, শ্রমিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর গণমিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই গণমিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর পথে, টিএসসিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাসদ ছাত্রলীগ (বিসিএল), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক সংসদ, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে মাহিদ শাহরিয়ার রেজা সমাবেশে বলেন, ‘উগ্রবাদী গোষ্ঠী আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য নানাধরনের চক্রান্ত করছে। পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারও এ ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রগতিশীল ছাত্র-যুবসমাজ তাদের কুফল দিতে দেবে না।’

সমাবেশ থেকে নারী ও শিশু নিপীড়ন, ধর্ষণ ও খুনের বিচার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উত্থাপন করা হয়।

সমাবেশে লিখিত বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দীন, যেখানে তিনি দেশের বিভিন্ন হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। বলেন, ‘মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে সারা দেশ শোকাহত, কিন্তু এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে।’ তিনি সরকারকে অভিযুক্ত করেন যে, ধর্ষকদের বিচার করতে তারা ব্যর্থ হলেও আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে সাতটি দাবি পেশ করা হয়: ১. সব হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার করতে হবে। ২. ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে। ৩. জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ৪. বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে হামলাকারীদের বিচার করতে হবে। ৫. বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার করতে হবে। ৬. গণমাধ্যমের উপর নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। ৭. নিপীড়নের বিরুদ্ধে মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ই, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম শীল এবং যুব ইউনিয়নের নেতা জাহাঙ্গীর আলম।

এদিকে, বেলা ১১টায় জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ দুই দফা দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘প্রতিবাদী জুলাই জমায়েত’ শুরু হয়। পরে তারা শহীদ মিনারের দিকে মিছিল নিয়ে রওনা হন, তবে পুলিশের বাধার মুখে তাদের মিছিলটি আটকে যায়। পরে পুলিশ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তাঁরা আবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে ফিরে এসে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।

১১৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন