বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা: ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় রোববার

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫ ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের জন্য ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল এবং আপিলের রায় আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) হতে পারে।
হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, রাষ্ট্র বনাম মেহেদী হাসান রাসেল ও অন্যান্য শিরোনামে রায় ঘোষণার জন্য ডেথ রেফারেন্সটি কার্যতালিকায় স্থান পেয়েছে, যেখানে আপিল ও জেল আপিলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর, বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, এবং বিষয়টি তদন্তের পর ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয় যে আসামিরা আবরারকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করেছেন। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এরপরে, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটির রায় প্রদান করে, যেখানে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল এবং আপিলের শুনানি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় এবং আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। আসামিদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন, এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অন্যান্য আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, এবং আরও অনেকে, যারা সকলেই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী।
মামলার অগ্রগতি আরও একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গাজীপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের দেওয়াল ভেঙে পালিয়ে যাচ্ছে।
এভাবে, আবরার ফাহাদ হত্যার মামলাটি বড় একটি তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছে এবং রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে।
১১৭ বার পড়া হয়েছে