নারীর আত্মরক্ষায় বান্দরবানে 'ওয়াইডিএসবি' এর পক্ষথেকে বিশেষ কর্মশালা

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫ ৫:৩৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
"আর্টিভিজম অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট" কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিলো শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো এবং নারীদের আত্মরক্ষা ও তাদের করণীয় বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় বান্দরবান সাংঙ্গু নদীর পাড়ে (ওয়াইডিএসবি) এর উদ্যোগে, ১৪ মার্চ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টায়।
কর্মশালার থিম ছিলো "আর্টিভিজম অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট: নারীদের আত্মরক্ষার জন্য জাপানিজ কারাতে, চিন্তা, চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সমাধান"। এটি বান্দরবানের উজানীপাড়া সাংঙ্গু নদী পাড়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন পেশার বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা যৌন হয়রানি বিরোধী জাপানিজ কারাতে, দো এবং অন্যান্য প্রতিকার কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
এতে উপস্থিত ছিলেন, সোতোকান কারাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্রোঞ্জ মেডেল জয়ী এবং আন্তর্জাতিক কলকাতা কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড মেডেলপ্রাপ্ত বান্দরবান কারাতে ক্লাবের সদস্য মেসাইওয়াং মার্মা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন 'ওয়াইডিএসবি' প্রোগ্রাম অফিসার চিংহ্লামং মার্মা, প্রজেক্ট অফিসার ছমিরা আক্তার শিরিন এবং বান্দরবানের বিভিন্ন বয়সী যুবকরা ও 'ওয়াইডিএসবি' সদস্যরা।
মেসাইওয়াং মার্মা বলেন, আমাদের সমাজে নারীরা নানা সময়ে যৌন হেনস্তার শিকার হন। জাপানিজ কারাতে শেখার মাধ্যমে নারীরা সহজেই বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হতে পারেন। বর্তমানে নারীর নিরাপত্তা ক্রমেই হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, এবং কোথায় নারীরা নিরাপদ, সেই বিষয়েও নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই নারীদের আত্মরক্ষায় কারাতে শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাবরিনা আক্তার জেনী বলেন, যৌন হয়রানি একটি ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক সমস্যা, এবং এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হলে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই কর্মশালায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সন্তানের প্রতি সচেতনতা, অতিরিক্ত বিশ্বাস না করা, সাংবিধানিক সচেতনতাসহ সঠিক বিচার প্রক্রিয়া বিষয়ে আলোচনা হয়। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রুংথইন ম্রো বলেন, বাংলাদেশে যৌন হয়রানি একটি চলমান সমস্যা। মাগুরায় আছিয়া নামে একটি শিশু হত্যার ঘটনায় শোক মেনে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আছিয়া বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে রয়েছে। আমাদের উচিত এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে প্রতিটি স্কুলে সচেতনতা ক্যাম্পেইন চালানো।
এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত শেয়ার করেন। এটি 'ওয়াইডিএসবি'র একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা যৌন হয়রানি মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
১৬৬ বার পড়া হয়েছে