জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সপরিবারে পিআইও'র বিরুদ্ধে মামলা

বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫ ১:৩৪ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবনায় এক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এবং তার স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তিনটি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়।
দুদক পাবনার উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী হলেন সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র ধর।
মামলার আসামিরা হলেন পাবনার সুজানগর উপজেলার হাসামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ (৪৮), তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪৮) এবং ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়ন (২২)। তারা বর্তমানে পাবনা পৌর শহরের সদর হাসপাতাল রোড শালগাড়িয়া এলাকায় বসবাস করছেন।
মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ মে দুদক সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেয়। সেই অনুযায়ী, তিনি ৩ জুলাই দুদক পাবনা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
তদন্তকালে দেখা যায়, আবুল কালাম আজাদ ৯ লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছে এবং মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া, তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুনও একইভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। আবুল কালাম আজাদ এর এই অবৈধ অস্তিত্বে তার স্ত্রীকে সহায়তা করেছে, যা অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
রিয়ন নামক তাদের ছেলে এরূপ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের। এখানে আবুল কালাম আজাদ তার ছেলের নামেও অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন।
এসব অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১১৪ বার পড়া হয়েছে