সর্বশেষ

চিকিৎসা

মাগুরার শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫ ৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মাগুরার সেই শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে শিশুটি দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ সংকটে পড়েছে, এমনটি জানিয়েছেন চিকিৎসক।

শিশুটি বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।

১ মার্চ, মাগুরায় তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ভাশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন।

সিএমএইচের চিকিৎসকদের দ্বারা গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য আজ সকালে জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, শিশুটির হৃৎস্পন্দন আজ সকাল ৮টায় প্রথমবার বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসার মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। পরে দ্বিতীয়বারও একই ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসকটির মতে, শিশুটি বর্তমানে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা (গ্লাসগো কোমা স্কেলে ৩) রয়েছে, যা গুরুতর ক্ষতির নির্দেশ করে। ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা চলাকালীন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হয়। হাসপাতাল নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল, যার ফলে অক্সিজেনের অভাবে তার মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার, শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তার মা হাসপাতালে আসেন এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে তাকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

শিশুটির চিকিৎসার জন্য সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যাতে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

এছাড়া, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযোগিত চার আসামির মধ্যে তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং শিশুটির ডিএনএ নমুনাও জমা দেওয়া হয়েছে। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসামিদের আবার মাগুরা জেলা কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতি দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। একইসাথে, দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু-কিশোরী ও নারীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগও উঠেছে।

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
চিকিৎসা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন