ফলকার টুর্কের মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আইএসপিআর

সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:৪১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের মন্তব্যের প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
আজ সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের একটি সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার টুর্কের মন্তব্য উঠে আসে। তারা মনে করে যে, মানবাধিকারের গুরুত্বকে সেনাবাহিনী সব সময় সম্মান করে এবং গঠনমূলক সমালোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। তবে তারা কিছু মন্তব্যের বিষয়ে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন অনুভব করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায় যে, তারা জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কাছ থেকে কোন সুনির্দিষ্ট বার্তা পায়নি। যদি এ বিষয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তা তৎকালীন সরকারকে জানানো হয়ে থাকতে পারে, সেনাবাহিনীকে নয়। সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকার আওতায় কাজ করছে এবং আইন ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।
সেনাবাহিনী অভিযোগ করে যে ফলকার টুর্কের মন্তব্য কিছু মহলের দ্বারা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা তাদের পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তারা নিজেদের নিরপেক্ষতা ও সততার ঐতিহ্যকে মেনে চলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে এবং অতীতের পরিস্থিতি, বিশেষত ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সময় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর উদাহরণ তুলে ধরেছে। ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময়ও তারা জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক অবদানকারী এবং তারা আন্তর্জাতিকভাবে পেশাদারিত্বের জন্য স্বীকৃত। তাদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে এবং দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা বিশ্বাস করে যে, সেনাবাহিনী সম্পর্কিত যেকোনো উদ্বেগ এবং বিভ্রান্তি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
১১৯ বার পড়া হয়েছে