সর্বশেষ

অর্থনীতি

এ মাসেই গড়তে পারে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স বৃদ্ধির রেকর্ড 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবাহ আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাড়ে ২৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চ মাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চের প্রথম ৮ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৮১ কোটি ৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এসবের বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। এই সময় প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি ডলার (১২৪১ কোটি টাকা) প্রেরণ হচ্ছিল। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চ মাসে রেমিট্যান্সের মোট পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে।

একজন ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর অর্থপাচার হ্রাস পেয়েছে এবং হুন্ডি ব্যবসার অগ্রগতি কমেছে। একই সঙ্গে, খোলা বাজারের পরিবর্তে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্সের ডলারের দামও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে, যা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের আগ্রহী করে তুলছে। এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে।

মার্চের প্রথম আট দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ ডলারের বেশি, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক থেকে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাপ্তি হয়েছে। অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বিদেশির ব্যাংক থেকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫৫ কোটি ডলার বেশি। ডিসেম্বরে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, সেটি একক মাস হিসাবে আগে কখনোই আসেনি।

রেমিট্যান্স প্রবাহের ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বৃদ্ধি পেয়ে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। দেশের মোট রিজার্ভ উন্নীত হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে।

দেশের রিজার্ভের ব্যয়যোগ্য পরিমাণ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে, যা সাধারণত একটি দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশের রিজার্ভ অবশ্যই এই প্রয়োজনীয়তম মান পূরণ করছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন