শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি, চলছে কৃত্রিম যন্ত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস

রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫ ৭:২৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা দিন তিনেকেও আশানুরুপ উন্নতি না হওয়ায় সে এখনও লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে এবং বর্তমানে তার শ্বাস-প্রশ্বাস অর্থাৎ ভেন্টিলেটরের সাহায্যে চলছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশুটি বর্তমানে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি রয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, নির্যাতনের ঘটনার তিন দিন পর শিশুর মাতা মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এবং পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের সকলকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব শেখ, সজিবের ভাই রাতুল শেখ, এবং শিশুটির বাবা হিটু শেখ, ও মা জাবেদা বেগম। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে, হিটু শেখ তাঁর বোনের স্বামীর সহায়তায় আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে।
শিশুটি গত বুধবার রাতে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এ ঘটনার শিকার হয়। পরদিন সকালে জাবেদা বেগম শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং এরপর তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির স্বজন হাসপাতালে উপস্থিত হলে তাদের অবস্থা জানিয়ে নেয়া হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা ভয়াবহ। ডাক্তারদের একটি মেডিকেল বোর্ড শিশুটির চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে, যাতে চারটি বিভাগের চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
শিশুর মা জানিয়েছেন, খাওয়া-দাওয়া না করার কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং গতকাল বিকেলে তাকে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠানো হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আগেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং আদালতে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এজাহারে মা উল্লেখ করেছেন যে, রাতে শিশুটিকে নিজের বাবা হিটু শেখ ধর্ষণ করেছে এবং এর সাথে শিশুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। উল্লেখ্য, বাবার অনৈতিক প্রস্তাবে শিশুর বড় বোনের সাথে সজিবের বিয়ে হওয়ার পর থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়েছিল, যা পুরো পরিবার জানলেও কেউ প্রতিবাদ করেননি।
১৩১ বার পড়া হয়েছে