সর্বশেষ

জাতীয়

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫ ৭:১১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্র, শ্রমিক এবং জনগণ যেভাবে অসাধ্য সাধন করেছে, তার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দেশের নারীরা।

তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির ভয়ঙ্কর অস্ত্রের সম্মুখে আমাদের মেয়েরা হিমালয়ের মতো দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী শাসনে অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এ কারণে আমাদেরকে এখন যুদ্ধকালীন সতর্কতায় থাকতে হবে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সর্বাধিক সজাগ থাকতে হবে এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক সংহতি গড়তে হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে নারীরা সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে নারীরা অনেক ক্ষেত্রে এখনো পশ্চাৎপদতায় রয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেমন দুস্থ মায়েদের জন্য আর্থিক সহায়তা, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার ইত্যাদি। এগুলোর পাশাপাশি আরও কী করা যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে। অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হলেও তারা অভিযোগ জানাতে জানেন না। তাদের অভিযোগ জানাতে সুবিধা দিতে হটলাইন চালু করা হয়েছে। পরিবর্তে, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০১০ পুনরায় হালনাগাদ করা হচ্ছে এবং যৌন হয়রানি রোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে, যারা তাদের সুপারিশ প্রদান করবে।

সম্প্রতি মহিলাদের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা, যা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের সঙ্গে পুরোপুরি বিপরীত। তিনি বলেছেন, এই ‘নতুন বাংলাদেশে’ নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা লক্ষ্য। দেশকে এগিয়ে নিতে নারীরা সাহসীকতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ এ রেকর্ড সংখ্যক নারীরা বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নিয়েছেন, যেখানে ২৭ লাখ ৪০ হাজার মেয়েরা প্রায় তিন হাজার খেলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। এভাবে নারীদের প্রতি সমর্থন ও আস্থা দেশের সামাজিক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং নারীবিরোধী যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে মোকাবিলা করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি সবশেষে বলেন, নারীদের নিয়ে খাটো দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে, আর তাহলেই আমরা জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারব।

১৩০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন