সর্বশেষ

ফিচার

কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না সীমান্তে নারী পাচার 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫ ৬:১২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মানব পাচারের ঘটনা দেশে এতটাই বাড়ছে যে, নারীদের প্রতারণার মাধ্যমে ভারতে পাঠানোর প্রবণতা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে, পাচারের শিকার হতে যাওয়া কিশোরীরা জানিয়েছে—বার্তা এসেছে ফেসবুকে, 'নাচ শিখতে ইন্ডিয়া যাবি? মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন। একই ধরনের আরও অনেক ভুক্তভোগী একই ফাঁদে পড়েছে।

পাচারকারীরা সাধারণত নিম্নবৃত্ত পরিবারের মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। যেমন, এক ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর ঘটনা, যিনি ভারতে চিকিৎসা খরচ কম বলে শুনে সেখানে যাওয়ার জন্য প্রতারণার শিকার হন। এছাড়া, প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীদেরকে যৌনকাজে বাধ্য করার ঘটনাও রয়েছে।

বাংলাদেশের যশোর ও সাতক্ষীরার সীমান্তগুলি এই পাচারের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়ে। যদিও বর্তমানে সীমান্তে কঠোর নজরদারি রয়েছে, পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে স্থানান্তর ঘটিয়ে আসছে। পাচার হওয়ার সময় ভুক্তভোগীদের বলা হয়, তাঁরা কিনে নিয়েছে। যার জন্য এক বিশাল অর্থ প্রদান করতে হয়েছে।

সরকারের পাচারবিরোধী তথ্যের অভাবের কারণে সত্যিকার সংখ্যা জানা দুষ্কর। সরকারের তরফে ২০২৩ সালে ১,২১০ জনকে পাচারের শিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও নাগরিক সমাজের তথ্য অনুযায়ী, এ সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

দেশের মধ্যে কতসংখ্যক নারী পাচার হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসেব পাওয়া যায় না। তবে জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে বিশ্বের ৩৪ শতাংশ নারী নিজ দেশেই পাচার হয়। আর ৩৭ শতাংশ আন্তঃ-সীমান্ত পাচারের শিকার।

ভারতীয় সমাজকল্যাণ বোর্ডের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি জানায় ১৮টি রুট দিয়ে বছরে ২০ হাজার বাংলাদেশি নারী ও শিশু ভারতে পাচার হয়।

সদ্য উদ্ধার হওয়া নারীরা তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান, পাচারকারীরা তাঁদের সঙ্গে প্রচণ্ড অমানবিক আচরণ করেছে। করোনা মহামারির পরে কিছু বিষয়ে পরিবর্তন হলেও এ ধরনের ঘটনার প্রবণতা থামানো যাচ্ছে না।

এখন পর্যন্ত অভিযোগ মামলার সংখ্যা ১,১৩৫টি, কিন্তু গ্রেফতারের হার অত্যন্ত নিম্ন। তা সত্ত্বেও অধিকারকর্মীরা বলতে চান, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপটে, নারীর অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়নের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে।

এ অবস্থায়, বাংলাদেশে নারীর পাচাররোধে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করা জরুরি। উন্নয়ন ও শিক্ষাই একমাত্র উপায়, যার মাধ্যমে নারীরা নিজেদের কষ্টের কাহিনীকে ভুলে নতুনভাবে জীবন শুরু করতে সক্ষম হবে।

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
ফিচার নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন