আমদানিতে বাড়লেও বাজারে সংকট রয়েছে সয়াবিন তেলের

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫ ৫:৪২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দেশে প্রতি মাসে সয়াবিন তেলের চাহিদা গড়ে ৮৭ হাজার টন হলেও রমজানে তা আরো বেড়ে যায়।
এ বছর জানুয়ারিতে সয়াবিন তেল আমদানি বেড়ে ১ লাখ ১৭ হাজার টন হয়েছে। একই মাসে সয়াবিন বীজের আমদানি হয়েছে ৩ লাখ টন, যা থেকে উৎপন্ন হয়েছে ৪৫ হাজার টন সয়াবিন তেল।
গত ছয় বছরে আমদানির দিক থেকে জানুয়ারি মাসে এটি ছিল সর্বোচ্চ। গেল দশ দিনে বন্দরে সয়াবিন বোঝাই একাধিক ট্যাঙ্কার এসেছে, যেখানে এক লাখ টনের অধিক সয়াবিন রয়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও অন্তত তিনটি ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে তেল আসবে। তবে, আমদানি বেড়ে গেলে ও এর পরিমাণ রেকর্ড হলেও পাইকারি মোকাম খাতুনগঞ্জে সয়াবিনের সরবরাহ বাড়েনি। বাজারে সয়াবিন তেল প্রায় উধাও ও বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করেছে। পাইকারি পর্যায়ে ১৫৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা ধার্য করা হয়েছে, কিন্তু বাজারে এই দাম মানা হচ্ছে না।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের এই উদ্যোগ ছিল। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, তারা অধিকারমূল্যে কিনেছিল তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে আগ্রহী। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।
এনবিআর জানিয়েছে, জানুয়ারিতে ১ লাখ ১৭ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি হলেও ফেব্রুয়ারির প্রথম ২৬ দিনে এসেছে ৫৭ হাজার টন। কিন্তু শেষ সপ্তাহে আবারও ট্যাঙ্কার এসেছে। নতুন তিনটি ট্যাঙ্কার মিলে আমদানি হয়েছে ৪৩ হাজার টন সয়াবিন তেল।
টি কে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ এবং মেঘনা গ্রুপ বিভিন্ন পরিমাণে সয়াবিন আমদানি করেছে। তবে পাইকারি বাজারে আবারও বিক্রেতারা দাম মেনে চলছেন না। খাতুনগঞ্জের এক ক্রেতা জানান, বাজারে তাকে যেখানে ৩০ টাকা বেশি দাবি করা হচ্ছে, সেখানে প্রশাসনের নির্ধারিত দাম মানা হচ্ছে না।
নভেম্বর থেকে দেশে সয়াবিন সংকট চলছে এবং বর্তমানে বাজারে দাম বৃদ্ধির জন্য দোষারোপ করা হচ্ছে। সরকার পূর্বে সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করলেও বর্তমানে তা কার্যকর হচ্ছে না।
১৫৫ বার পড়া হয়েছে