আর্জেন্টিনায় আকস্মিক বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫ ৫:০০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আর্জেন্টিনার বন্দর নগরী বাহিয়া ব্লাঙ্কায় প্রবল বর্ষণের ফলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে, যা ঘরবাড়ি এবং হাসপাতালকে প্লাবিত করেছে।
শহরের বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, খবরটি এএফপির।
টানা আট ঘণ্টার বৃষ্টিতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কর্তৃপক্ষকে জোসে পেন্না হাসপাতাল খালি করতে বাধ্য হতে হয়। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, চিকিৎসকরা হাসপাতালের নবজাতক ইউনিট থেকে শিশুদের উদ্ধার করছেন। উদ্ধারকাজে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনীও নিযুক্ত করা হয়েছে।
মেয়ার ফেদেরিকো সুসবিয়েলসের অফিস জানিয়েছে, বুয়েনস আইরেস থেকে ৬০০ কিলোমিটার (প্রায় ৩৭৫ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত শহর থেকে মোট ১ হাজার ৩২১ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জাতীয় সরকার ১০ বিলিয়ন পেসো (প্রায় ৯.২ মিলিয়ন ডলার) জরুরি সহায়তার অনুমোদন করেছে।
বুয়েনস আইরেস প্রদেশের নিরাপত্তার মন্ত্রী জাভিয়ের আলোনসো জানিয়েছেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহরে ৪০০ মিলিমিটার (১৫ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা প্রায় এক বছরের বৃষ্টির সমান। এটি সত্যিই একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
১৯৩০ সালের দিকে বাহিয়া ব্লাঙ্কায় এক বড় ঝড়ে ১৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শহরের বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যুতের গোলযোগ এবং নানা ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রাদেশিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার, ক্যানো, অ্যাম্বুলেন্স এবং খাদ্য, পানি ও সরঞ্জাম বহনকারী ট্রাক পাঠাচ্ছে।
উপকূলরক্ষীরা নৌকা দিয়ে উদ্ধারকাজে সহায়তা করছেন। ফ্লাভিয়া ভিয়েরা রোমেরো নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। তার বাড়িতে প্রায় দেড় মিটার পর্যন্ত পানি উঠেছে এবং তিনি তার বাচ্চাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এছাড়া, আবহাওয়া বিভাগ নতুন ঝড়ের পূর্বাভাসও দিয়েছে, যা এলাকায় আরো বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। জোসে পেন্নার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের ওয়ার্ডগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে, ফলে রোগী এবং কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হচ্ছে।
১৩২ বার পড়া হয়েছে