তীব্র গ্যাস সংকট, সেহরি ছাড়া রোজা পাকিস্তানের কয়েক হাজার পরিবার

বৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ, ২০২৫ ৬:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাকিস্তানে গ্যাস সংকট রমজান মাসে তীব্র আকার ধারণ করার ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
পাকিস্তান টুডের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রমজানের প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার পরিবার সেহরি না খেয়ে রোজা রাখতে বাধ্য হয়েছে।
যদিও গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো সেহরি ও ইফতারের সময়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে করাচি, রাওয়ালপিন্ডি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর বাসিন্দারা তীব্র গ্যাস সংকটের শিকার হয়ে পড়েছেন। এর ফলে সেহরি প্রস্তুত করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক পরিবার রাস্তার পাশে খাবারের দোকান বা হোটেলে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছু পরিবার তো সেহরি ছাড়াই রোজা রাখতে শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন, যা নাগরিকদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ তৈরি করেছে।
পাকিস্তানের গ্যাস সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠান 'সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেড' (এসএনজিপিএল) এবং 'সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানি' (এসএসজিসি) রমজানে সেহরি ও ইফতারের সময়ে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরিস্থিতি ভিন্ন। বেশ কিছু এলাকায় মানুষ সম্পূর্ণ গ্যাস ছাড়াই রান্নার বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এর আগে এসএসজিসি ঘোষণা দিয়েছিল যে, রমজান মাসে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা এবং রাত ১০টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কিন্তু এই নির্ধারিত সময়েও গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
রমজান মাসের শুরুতেই এমন অপ্রত্যাশিত গ্যাস সংকট দেখা দেওয়ায় পুরো মাসজুড়ে সরবরাহের অভাব দেখা দিতে পারে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে এলএনজি উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে তারা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় আমদানিকারক হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী গ্যাসের ঘাটতির কারণে এলএনজির দাম এতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা পাকিস্তানের জন্য বহনক্ষম নয়।
১৩৬ বার পড়া হয়েছে