ধোলাইখালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর–হামলা, উত্তেজনা

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫ ৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে এই ঘটনাটিতে আটজন শিক্ষার্থী আহত হন। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাহিদ ইসলাম, জাহিদ হাসান, ইশতিয়াক হোসেন, আল মামুন, ইতিহাস বিভাগের হাবিবুর রহমান, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের আবু বকর সিদ্দিক, আকাশ ও আবু সাঈদ মো. আকিব।
তাদের মধ্যে তিনজন, অর্থাৎ আবু বকর সিদ্দিক, আকাশ ও আবু সাঈদকে পুরান ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, নাহিদ ইসলাম, জাহিদ হাসান, ইশতিয়াক হোসেন, আল মামুন ও হাবিবুর রহমানকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটির সূত্রপাত ঘটে গতকাল রাত ১০টার দিকে ধোলাইখাল এলাকার টিপু সুলতান সড়কে। নাহিদ ওই এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ঢালাইয়ের ওপর পা রাখেন। এজন্য স্থানীয় কয়েকজন তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাঁর উদ্ধার করতে ছুটে যান, তখন স্থানীয়রা তাদেরও আটক করে মারধর করেন।
আহত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বিএনপির নেতা শহিদুল হক সহিদ, যিনি ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড (ওয়ারী থানা) বিএনপির নেতা এবং নবাবপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
হামলার বিরুদ্ধে জানতে চেয়ে শহিদুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা শহিদুলের নবাবপুর এলাকার বাড়ির দিকে রওনা দেন, যেখানে স্থানীয় একটি ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত একটার দিকে ওয়ালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। শিক্ষার্থীরা শহিদুলের বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করলেও পুলিশ নিরাপত্তা প্রদান করে বাড়িটি ঘিরে রাখে।
শহিদুলকে সেখানে না পেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ সদস্যদের অনুরোধে ভোররাতে ঘটনায় স্থান ত্যাগ করেন। তারা ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন।
১৩৩ বার পড়া হয়েছে