বনশ্রীতে সোনা লুট: ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে নম্বর প্লেট ছিল না

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫ ৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানী ঢাকার বনশ্রী এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনা দু'সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনও এর কোনো সুরাহা হয়নি।
রাত ১০টার পরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে গুলি করে ১৬০ ভরি সোনা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা যে তিনটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করেছিল, সেগুলোর কোনো নম্বরপ্লেট ছিল না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ছিনতাইকারীদের মুখও পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়া সাতজনের কোনো পক্ষ থেকেই চেহারা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা প্রায় ২০০টি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে। তারা ধারণা করছে, পরিকল্পনার মাধ্যমে ভালোভাবে হিসাব-নিকাশ করে এই ছিনতাই কার্যক্রম করা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, "এ ঘটনায় আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, তবে আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।" এর আগে, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনোয়ার হোসেনকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে সোনা এবং নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। রাত ১২টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনার পর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনটি মোটরসাইকেলে আসা সাতজন ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীকে ঘিরে ধরে, তাকে মারধর করতে থাকে এবং ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই ভিডিও ধারণ করছিলেন, কিন্তু কেউ ভুক্তভোগীকে সহায়তা করেননি।
এদিকে, তদন্তে সহযোগিতা করতে বাসার দারোয়ানকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের কাছে ঘর ও গলির গেট খোলা থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে ঘটনা ঘটার পরে ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
বনশ্রী এলাকারটি জনস্বার্থে বিক্ষোভের সমন্বয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ মানুষ পুলিশি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান, দাবি করেন পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত একজন সন্দেহভাজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে পুলিশ পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়নি। কর্মকর্তারা আশা করছেন দ্রুত সমাধান নিয়ে আসবেন।
১২৯ বার পড়া হয়েছে