আজ পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা

রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫ ৮:০৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফেসবুকে লেখালেখির অভিযোগে ২৫ ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এই পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন দপ্তরে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কর্মবিরতির অংশ হিসেবে একাধিক দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ ক্যাডার হলো বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার। আজ বেলা ১১টার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রাঙ্গণে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খান নিজেও যোগ দেন।
গতকাল শনিবার খামারবাড়িতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন পরিষদের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, "সংশ্লিষ্টরা সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো সমাধান না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব।"
মফিজুর রহমান জানান, কর্মবিরতির সময় কর্মকর্তারা স্ব স্ব দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে এবং ব্যানার হাতে অবস্থান করবেন। তিনি উল্লেখ করেন, "সামাজিক মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারের ২২ কর্মকর্তা কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই লেখাগুলি উপদেষ্টাদের কাছে দেখালে তারা হতবাক হন।"
এসময় মফিজুর রহমান বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈষম্য নিরসনে ১৪টি সুপারিশ পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে ২৫টি ক্যাডারের পক্ষ থেকে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন স্তর থেকে সিভিল সার্ভিসে পেশাদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ক্ষমতাধর একটি গোষ্ঠীর ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টার কথা উঠে আসে।
মফিজুর রহমান বলেন, "যদি এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থতার দিকে যাবে এবং প্রশাসনিক ফ্যাসিজমের প্রসার ঘটবে।"
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ আরিফ হোসেন। এসময় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
১৩৬ বার পড়া হয়েছে