আগামীকাল রোববার ২৫ ক্যাডারের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আগামীকাল রোববার, ফেসবুকে লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করার আদেশ প্রত্যাহার এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য সমাধানে দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
এই তথ্য জানিয়েছেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান, আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায়।
ড. রহমান বলেন, ২৫ ক্যাডার রোববার সারাদেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে, যার ফলে জরুরি সেবা ব্যতীত সকল সেবা বন্ধ থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাধ্য হবেন।
সভায় জানানো হয়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে অবস্থান করবেন এবং ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন।
২৫ ফেব্রুয়ারিতে তারা অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের কারণে তা স্থগিত হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারির পর তারা সতর্ক করে বলেছিলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বহিষ্কারাদেশ এবং বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার করা না হলে রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি করবেন।
সভায় আলোচনা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে ২৫টি ক্যাডারের পক্ষ থেকে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু কমিশনের প্রতিবেদনে ক্ষমতাধর মহলগুলো আরও বেশি ক্ষমতা নেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এর ফলে প্রশাসনিক ফ্যাসিজম আরও বৃদ্ধি পাবে।
সভায় বলা হয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারবহির্ভূত রাখার প্রস্তাব থাকলেও উভয় ক্ষেত্রেই মেধাবীদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। গাণিতিক দক্ষতা যাচাইয়ের মাপকাঠি হতে গণিত বাদ দেওয়া এবং বিভিন্ন বিষয়ের মাধ্যমে মুখস্থ করার প্রবণতা ব্যক্তির মেধা মূল্যায়নের অন্তরায়। এছাড়া জেলা পরিষদ ও বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের ফলে প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, যা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
সভায় বিভিন্ন দাবির মধ্যে ছিল, পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, উপসচিব পদে কোটা বাতিল করা এবং সকল ক্যাডারের সমতা নিশ্চিত করা। পরিবার পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান ক্যাডারকে কার্যক্রমে রাখা এবং প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বিশেষ সুযোগ বাতিল করা সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে।
অবশেষে, ফেসবুকে লেখালেখির মতো তুচ্ছ কারণে ২৫ ক্যাডারের ১৩ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, যেখানে একই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মো. আরিফ হোসেন, যেখানে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১২০ বার পড়া হয়েছে