সাতক্ষীরায় স্বামীকে হত্যার পরে স্ত্রীর আত্মহত্যা

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে হত্যার পর এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে একটি ভাড়াটিয়া বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ (৪৫) এবং তার স্ত্রী নাজমিন (৩০)। আবুল কালাম আজাদ কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পরিবারিক বিবাদের ফলে নাজমিন প্রথমে স্বামী আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করেন এবং পরে একটি চিরকুট রেখে গলায় ফাঁস দেন। চিরকুটে সে লিখে রেখে গিয়েছে, “আমি কিছু শেষ করে দিলাম। আমি ২.৩১ মিনিটে মারছি, এবার আমিও মরছি। একা হলেও বাঁচবো না, কারণ শারমিন ও তার পরিবার আমাকে শেষ করে দেবে। তাই আমরা দুইজন মরে গেলাম। এবার তোমরা সংসার করো, ভালো করে। আর কেউ বিরক্ত করবে না। আমার ছেলে কষ্ট পাবে, তবুও কালামের জন্য আমি সবাইকে কষ্ট দিলাম। তবুও সে আমাকে কষ্ট দিল, শয়তান একটা।”
নাজমিন হত্যার পর আবুল কালাম আজাদের বুকের উপর কলম দিয়ে লেখেন, “সরি জান, আই লাভ ইউ।” পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদের দুটি স্ত্রী ছিলেন, তবে বড় স্ত্রী শারমিনের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। ছোট স্ত্রী নাজমিন একসাথে বসবাসের দাবি জানালে শারমিন রাজি না হওয়ায় এই ঘটনায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে এবং আমি নিজেও সেখানে যাচ্ছি। তদন্ত শেষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
১২৪ বার পড়া হয়েছে