সর্বশেষ

খেলা

চ‍্যাম্পিয়নস ট্রফির পর কে হবেন বাংলাদেশের নতুন কোচ

স্পোর্টস রিপোর্টার
স্পোর্টস রিপোর্টার

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫ ৮:০৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ হলেও বাংলাদেশের জন্য এর অধ্যায় সমাপ্ত হয়েছে। সকলের জন্য টুর্নামেন্টটি এখনও চলছে, তবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের জন্য এটি একটি শেষপর্ব হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

গতকাল বাংলাদেশ দল দেশে ফিরেছে এবং এর সাথে শেষ হচ্ছে ফিল সিমন্সের অধ্যায়ও। তিনি তাঁর দেশে ফিরে গেছেন। তবে এই শেষটা নতুন শুরু হতে পারে।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বিদায় জানিয়ে বিসিবি সিমন্সকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। এই দায়িত্ব পালন শেষে, তিনি যদি বেতন ও অন্যান্য শর্তে রাজি হন, তবে তিনি বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে আরও দীর্ঘ সময় থাকতে পারেন।

এই ছয় মাসে বিসিবি সিমন্সকে অনেক দিক থেকে মূল্যায়ন করেছে। কোচ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিত্ব, খেলোয়াড়দের প্রতি আচরণ, এবং স্থানীয় কোচদের সাথে কাজ করার আগ্রহ—এসব বিষয়ই ছিল। মানবিক দিক থেকে সিমন্স সফলভাবে পাস করেছেন। এখন চুক্তির শর্তে মিল হলেই তিনি আগামী দুই থেকে আড়াই বছরের জন্য বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে বিসিবির দৃষ্টিতে সিমন্স অত্যন্ত উজ্জ্বল নন, আবার খুব হতাশাজনকও নন।

সিমন্সকে দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হলো, তিনি স্থানীয় কোচদের কাজের স্বাধীনতা দিতে প্রস্তুত। স্থানীয় কোচরা তাঁর সাথে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন। বিসিবির পরিকল্পনা হলো সিমন্সের মতো বিদেশি কোচ রেখে স্থানীয় কোচদের দায়িত্ব বৃদ্ধি করা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সময় সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

সীমিত সময়ের মধ্যেই সিমন্সের সাথে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন না হলে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আসন্ন তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সালাউদ্দিনই প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বিসিবি ভবিষ্যতে স্থানীয় কোচদেরও জাতীয় দলের সাথে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে, যা সিমন্সের সাথে নির্দেশিত পরিকল্পনায় মানানসই হতে পারে।

মজার ব্যাপার, ফারুক আহমেদের বোর্ড এখন মানবিক কোচ খুঁজছে, যদিও ২০১৯ সালের পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশের দুজন বিদেশি কোচ ‘অতি মানবিক’ হয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডসকে বিশ্বকাপের মধ্যেই বিদায় নিতে হয়েছিল, এবং রাসেল ডমিঙ্গো নিজেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে, হাথুরুসিংহের সঙ্গেও সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ দলের কোচদের দায়িত্ব পালনের সময়ে, উদারতা এবং কঠোরতার সব দিক বিবেচনা করা হয়েছিল। তাই বোর্ড কখনো স্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি যে ঠিক কি ধরনের কোচ তারা চায়।

যদি বিসিবি সিমন্সকে দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব দেয়, তবে তা হবে মানবিক কোচ হিসেবে। তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং সতর্কতার জন্য তিনি দলের জন্য উপকারী হতে পারেন। আগামী দিনে দেখা যাক, বাংলাদেশ দলের জন্য সঠিক কোচিংয়ের মাপকাঠি কিভাবে নির্ধারণ করা হয়।

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
খেলা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন