কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার বনভোজন এক মিলন মেলা

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২:১৬ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকায় ২০২৫ সালের বনভোজনের আয়োজনটি সবার কাছে ছিল এক অসাধারণ মিলন মেলা।
যা সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়। নতুন কমিটির প্রথম আয়োজনের সাফল্য সকলের মনে যে প্রভাব ফেলেছ এবং তা সংগঠনের ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
মানিকগঞ্জের ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা ছিল শুক্রবারের দিনটি ছিল মিছিলের স্থান। পবিত্র একটি প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে, যেখানে শান্ত আবারও উদ্দীপনাময় বাতাবরণ, সেখানেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা শত শত মানুষ জড়ো হন, গড়েন এক সুন্দর সমাজের বন্ধন। এই আয়োজনটি শুধু একটি বনভোজনই নয়, বরং সম্পর্কগুলোর নতুন শিকড় গাঁথা, বন্ধুত্বের নবজাগরণ এবং অপূর্ব স্মৃতির সৃষ্টি করার উদ্যোগ ছিল।
সারাদিনজুড়ে মেতে ওঠা আনন্দের উৎসব, প্রাচুর্যময় খাবারের সুবাস, হাসি-ঠাট্টার মাঝে চলছিল প্রাণবন্ত আলাপচারিতা। স্বতঃস্ফূর্ত বক্তৃত, সংগীত, খেলাধুলা—সবকিছু মিলিয়ে একটি প্রাণবন্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। অনুষ্ঠানের প্রতিটি মুহূর্ত যেন একটি করে নতুন আনন্দের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছিল।
অবকাশের স্পর্শবিন্দু হিসেবে আন্দনিক রিসোর্টের স্বচ্ছ জলস্রোত, সবুজ প্রান্তর এবং মনোরম দৃশ্যপট ছিল সবার জন্য এক অভিজ্ঞতার জন্ম দিয়েছিল। এমন একটি পরিবেশে আয়োজনের আনন্দকে আরেকটু বৃদ্ধি করতে সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল আরেক আকর্ষন। এলাকার প্রতিভাবান শিল্পীরা তাদের শিল্প প্রদর্শনের মাধ্যমে সবার মনে এক অদ্ভুত আনন্দের ঝলক তৈরি করে।
অবশেষে, এই বনভোজনের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার সদস্যদের মধ্যে যে বন্ধন গড়ে উঠেছিল, তা সকলকে একত্রিত করেছে। এটি প্রমাণ হয়েছে, মিলনের আনন্দে, সম্প্রীতির আবহে, সমাজকে আরও বেশি শক্তিশালী করা যায়। এই বনভোজনের স্মৃতি সবার মনে চিরকাল রয়ে যাবে, এবং অপেক্ষায় থাকবে আগামী বছর আবারও একই আনন্দের অংশীদার হয়ে একত্রিত হতে।
কুষ্টিয়া জেলা সমিতির ঢাকার এই বনভোজন একটি অপরূপ উদযাপন। যেখানে ২০২৪-২৫ সালের নতুন কমিটির প্রথম আয়োজনটি আরও একটি স্মরণীয় মুহূর্তে পরিণত হয়। গেল ২৮ ফেব্রুয়ারি, পিচঢালা পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে আসা সদস্যদের মুখে জ্বলজ্বলে উদ্দীপনা, এবং তাদের হৃদয়ে ছিল কুষ্টিয়ার প্রতি এক বিশেষ আগ্রহ।
মানিকগঞ্জের ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা ছিল এই আয়োজনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই রিসোর্টটি যেন একটা বিরাট মিলনমেলা হয়ে উঠেছিল, যেখানে জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন। প্রবীণ থেকে যুবকদের মধ্যে আলোচনার ঝরনা ধ্রুপদী হয়ে উঠেছিল, তারা তাদের জেলার সংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের গল্প শেয়ার করছিলেন।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অতিথিরা আসতে শুরু করেন এবং তাদের আগমনে পুরো পরিবেশ যেন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। স্বাগত বক্তব্যের পর সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হয়। দিনটি ঘিরে ছিল বিভিন্ন আনন্দের আয়োজন। বিনোদনমূলক গেম, খেলাধুলা এবং উদ্বোধনী আয়োজন। শিশু এবং যুবকরা বল খেলা, দৌড় প্রতিযোগিতা এবং নিজেরা নানাভাবে আনন্দ উপভোগ করতে থাকে। এছাড়া প্রবীণরা নিজেদের স্মৃতিচারণে মেতে ওঠেন, একে অপরের সাথে দীর্ঘদিন পর দেখা করতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
নির্ধারিত সময়ে দুপুরের খাবার শেষ হয়। বিকেল বেলা।সূর্য যখন অনেকটা নিমিষে অস্ত যাচ্ছিল, তখন একসঙ্গে বসে সবাই জমিয়ে আড্ডা দেন বিকেলের নাস্তার টেবিলে।
সমগ্র আয়োজন যেন কুষ্টিয়ার এক মিলন মেলার পরিণত হয়েছিল। একে অপরের সাথে হাসি-মজা, গল্প আকর্ষণের মাধ্যমে সবার মধ্যে একটি অদ্ভুত বন্ধন তৈরি হয়েছিল। সন্ধ্যার আঁধারে, সদস্যরা আলোছায়ায় একসাথে বসে, পূর্বের স্মৃতি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
এভাবে, কুষ্টিয়া জেলা সমিতির বনভোজন যেন সব সদস্যদের জন্য এক নতুন সজীবতা এনে দেয়, যেখানে তারা নিজেদের স্মৃতিগুলোকে নতুন করে আবিষ্কার করেন এবং এক অপরের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই আয়োজনটি শুধু একটি বনভোজনই নয়, বরং ছিল কুষ্টিয়া জেলার মানুষের একতা, সংস্কৃতি এবং অটুট বন্ধনের একটি চিত্র।
১৯৭ বার পড়া হয়েছে