ভাঙ্গা থানার ওসি ও ঢাকার মোহাম্মদপুরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৭:২৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয়ের হত্যাকাণ্ডে তারা জড়িত ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল এই চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির করে। আদালত তাদের মধ্যে ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এছাড়া, গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিদর্শক এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল ফাহিম হাসান এবং কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান সজীবও কারাগারে পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী মাসে তাদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করেছে।
এদিকে, গত বছরের ৫ আগস্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে তিনজন গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকা থেকে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটায় তাকে আটক করা হয়, এবং সেনাবাহিনী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সেনাবাহিনী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদক ব্যবসায়ীর সন্ধান চালানো হচ্ছিল। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি পারভেজ নামে পরিচিত, যিনি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মাদকের বড় ধরনের ডিলার ছিলেন। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও ছিল, এবং বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিচালনা করতেন, যাদের অনেককে গত কয়েক মাসে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করেছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে র্যাবের হাতে চুয়া সেলিম নামক এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হওয়ার পর পারভেজ তার স্থলাভিষিক্ত হন। গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসা থেকে ১৫০০ পিস ইয়াবা, ৪টি পাসপোর্ট, ৯টি মোবাইল ফোন, ১৮টি সিম কার্ড এবং মাদক বিক্রির অবৈধ ১৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পারভেজকে উদ্ধারকৃত সব আলামতসহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তা ও স্বস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানানো হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে