কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবর খুঁড়ে এক জোড়া দেহাবশেষ চুরি

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফজরের নামাজ শেষ করে মায়ের কবর জিয়ারতে আসেন এক ছেলে। এসে দেখেন, মায়ের কবরের মধ্যে একটি বড় গর্ত তৈরি করা হয়েছে এবং সেখানে কোনও দেহাবশেষ নেই।
পাশে থাকা ভাতিজার কবরেরও একই অবস্থার মুখোমুখি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর-নূরপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়দের মতে, কাল রাতের কোনো এক সময় ওই কবরস্থানে দুটি মরদেহের কঙ্কাল চুরি হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও স্বজনরা সেখানে ভিড় করেন। পুলিশ এসে কবরস্থানের পাশে একটি ভুট্টা খেতে দুই টুকরো হাড়, কিছু কাটার যন্ত্রপাতি এবং একটি টাউজার জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, প্রায় দুই বছর আগে বার্ধক্যজনিত কারণে ছারা খাতুন (৮৫) মারা যান। তার মৃত্যুর মাসখানেক পরে মারা যান তার নাতি রাতুল (১৪), যিনি জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তাদের দুটি মরদেহ পাশাপাশি দাফন করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে রইসুল বিশ্বাস কবর জিয়ারত করতে এসে দেখেন, মায়ের এবং ভাতিজার কবর খোঁড়া হয়েছে এবং ভিতরে কোনও কিছু নেই।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কবরস্থানে উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন। পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে, দুটি কবরের মাঝখানে গর্ত খোঁড়া হয়েছে এবং ভিতরে কিছুই নেই। পাশের ভুট্টা ক্ষেতে দুটি হাড়ের টুকরা এবং একটি টাউজার পড়ে রয়েছে।
রইসুল বিশ্বাসের ছেলে রিজভী জানান, তার বাবা কবর জিয়ারত করে ফিরে এসে কবর খোঁড়ার চিত্র দেখতে পান। তিনি দাবি করেন, এটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।
পশ্চিম নগর সাঁওতা গ্রামের মোতাহার উজ জামান জানান, কবরস্থান থেকে দুটি মরদেহের কঙ্কাল তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা এলাকার জন্য একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। এতে অন্যান্য মরদেহের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।
নূরপুর গ্রামের সামছুজ্জামান বলেন, এই চুরির ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগের। তিনি কবরস্থানে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার দাবি জানান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। 사건ের তদন্তের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে লেখিত অভিযোগ পেলে।
১৩৩ বার পড়া হয়েছে