সর্বশেষ

সারাদেশ

চাটমোহরের একান্তে চলছে কাঞ্চনতলায় দুইদিনব্যাপী কবিতা উৎসব 

এম এস রহমান, পাবনা
এম এস রহমান, পাবনা

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৯:৩২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পাবনার চাটমোহরে দুইদিনব্যাপী কবিতা উৎসব চলছে। যার লক্ষ্য বাংলা কবিতাকে তৃণমূল মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া এবং 'কবিতা আনুক চিত্তের মুক্তি' শ্লোগানে উৎসাহিত করা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চাটমোহরের কুমারগাড়া গ্রামে ছায়াঘেরা বাড়ি একান্তে’এর কাঞ্চনতলায় উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও নির্দেশক ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একান্তের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় অমর একুশের স্মরণীয় দলীয় গান দিয়ে। এরপর ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কবি ও সাহিত্যিকরা একে একে কবিতা আবৃত্তি করেন, যাদের কণ্ঠে ভেসে ওঠে একুশের কবিতা। এর পর সাংবাদিক ও সঙ্গীত শিল্পী মাসুদ রানার একক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন অতিথিরা এবং প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন।



উৎসবে কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক নাট্যকার ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, সাবেক সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ, বাসসের বার্তা সম্পাদক মাহফুজা জেসমিন, অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন শাহীন, কথা কবিতা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা, প্রকৌশলী উত্তম কুমার দাস, আশরাফুল হাসান বাবু, এনামুল হক বাবু, রিচি, প্রজ্ঞা, কাজী বুশরা আহমেদ তিথি, মঞ্জুয়ারা রশিদ, রকিবুর রহমান টুকুন, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম নাজু, তিতাস রোজারিও, চিত্রা রোজারিও, রানা আহমেদ, লাবন্য হাসান, মাহফুজ হাসান, শিক্ষার্থী শাপলা খাতুন, শিশু রোকাইয়া সহ আরও অনেকে।

আয়োজক একান্তের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, 'বর্তমান সময়ে চিন্তা, চেতনা এবং বোধের যে অন্ধকার ছড়িয়ে পড়েছে, তার বিরুদ্ধে কবিতা, গান, সাহিত্যের মাধ্যমে এক ধরনের লড়াই চলছে। আমাদের এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো, কবিতার মাধ্যমে তৃণমূল মানুষের মাঝে মুক্তির বার্তা পৌঁছে দেয়া।'

উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এমন আয়োজনের গুরুত্ব অনেক এবং এটি ছড়িয়ে দেয়া উচিত।

বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক নাট্যকার ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'দেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বাড়ছে এবং বাংলার সাথে ইংরেজির মিশ্রণ ঘটছে, যা পরিবেশকে বিশৃঙ্খল করে তুলছে। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রামাঞ্চলে আয়োজন করা সত্যিই প্রশংসনীয়।'

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর মাহফুজা জেসমিন বলেন, 'বাংলা কবিতাকে গভীরভাবে শেকড়ের মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়ার এমন আয়োজন কমই দেখা যায়। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে এমন উদ্যোগ অপরিহার্য।'

সাবেক সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ বলেন, 'এ ধরনের আয়োজনে অংশ নিয়ে আমি অভিভূত। বিশেষত, স্থানীয় আবৃত্তি শিল্পী ও শিশুদের সাথে ঢাকার শিল্পীরা যে কিভাবে কবিতা আবৃত্তি করেছে, তা সত্যিই মনোগ্রাহী।'

দুইদিনব্যাপী এই উৎসবে সারাদিন কবিতা আবৃত্তি ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, এবং উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে আজ শনিবার।

১০৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন