সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

ভাষা শহীদদের প্রতি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড। অমর একুশে উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকেও শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। 

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের এই দিনটিতে ভাষার জন্য সংগ্রামরত কিছু চরম সাহসী যুবকের তাজা রক্তে লাল হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ। মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষা করার জন্য সাহসী তরুণদের আত্মদান এই দিনটিকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। তাঁদের রক্তের মাধ্যমে বাংলা ভাষা পেয়েছে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি, এবং এরপর থেকেই ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে ভাষা শহীদ দিবস হিসেবে। পরবর্তীকালে এই দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গৃহীত করা হয়।

আজকের দিনটি উপলক্ষে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ইতোমধ্যে সাজানো হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন আয়োজন চলছে, এবং অধ্যাপক ড. ইউনূস ও রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনসহ সরকারের বিভিন্ন নেতা বাণী দিয়েছেন। দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হচ্ছে।

রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করেছে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’—এই করুণ সুরে সকালে অনুষ্ঠিত হবে প্রভাতফেরি, যেখানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষ অংশ নেবে। শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া বাংলা একাডেমির উদ্যোগে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা চলছে।

১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০০০ সাল থেকে এই দিবসটি ১৮৮টি দেশে পালিত হয়ে আসছে।

এর শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি, যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন—‘উর্দু এবং কেবল উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ এরপরই বাঙালির মধ্যে ক্ষোভ জেগে ওঠে। বাঙালি ছাত্র-জনতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়, এবং এই প্রেক্ষাপটে ১৪৪ ধারা জারি করে পাকিস্তান সরকার। তবে ছাত্ররা সাহসিকতা দেখিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। এই মিছিলের সময় পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, সফিউরসহ অনেক ছাত্র নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশজুড়ে ভাষা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, এবং শেষ পর্যন্ত বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।

এইভাবে, ২১ ফেব্রুয়ারি একটি ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠে, যা প্রমাণ করে ভাষার জন্য সংগ্রামীদের আত্মদানের গুরুত্ব এবং বাংলার শক্তি।

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন