আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরাজয়

বৃহস্পতিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৬:০৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জন্য একটি হতাশাজনক দিন ছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ ‘এ’ তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২২৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করালেও, শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে পরাজিত হয়েছে। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে একাই লড়াই চালিয়ে যান তৌহিদ হৃদয়, অসাধারণ সেঞ্চুরি করেও দলকে জয়ী করতে পারেননি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তাদের বিপদে ফেলল। প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকার শূন্য রানে আউট হন। পরবর্তী ওভারেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও শূন্য রানে ফিরে গেলে দলের ওপর চাপ বেড়ে যায়।
ছয় ওভার শেষে বাংলাদেশ মাত্র ২৬/৩ রান করে, যেখানে মেহেদী হাসান মিরাজও ৫ রান করে আউট হন। তানজিদ হাসান ২৫ রানের ইনিংস খেললেও, একবার সেট হয়ে যাওয়ার পর তিনিও দ্রুত আউট হন। ৩৫ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিমের বিদায়ে বাংলাদেশ আরও কঠিন অবস্থায় পড়ে।
তবে এই বিপর্যয়ের মাঝেও এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তিনি ১১৮ বলে ৬টি চার এবং ২টি ছক্কায় দুর্দান্ত ১০০ রান করেন। জাকের আলীও ৬৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। কিন্তু দলের ১৮৯ রানে তার বিদায়ের পর বাকিরা আর দাঁড়াতে পারেননি। শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ১৮ রানের ছাড়া কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি এবং বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ২২৮ রানে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের মূল কারণ ছিলেন ভারতের মোহাম্মদ শামি, যিনি মাত্র ৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলে ২০০ উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েন। পাওয়ারপ্লেতে সৌম্য ও মিরাজকে আউট করে শুরুতেই বড় ধাক্কা দেন শামি, পরে জাকের, তানজিম এবং তাসকিনের উইকেট নিয়ে তার ৫ উইকেট পূর্ণ করেন।
২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল। রোহিত শর্মা ৩৬ বলে ৪১ রান করলেও, তাসকিন আহমেদ তাকে আউট করে দেন। এরপর বিরাট কোহলি (২২) এবং শ্রেয়াস আইয়ার (১৫) দ্রুত ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। কিন্তু শুভমান গিল ১২৯ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় অসাধারণ সেঞ্চুরি করে দলকে জয় এনে দেন। তাকে সঙ্গ দেন কেএল রাহুল, যিনি ৪৭ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের বোলিংয়ের সবচেয়ে সফল ছিলেন রিশাদ হোসেন, যিনি ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন। তবে মোস্তাফিজ ও তাসকিন ১টি করে উইকেট পেলেও, কম রানের লক্ষ্য রক্ষা করতে পারেননি।
এই পরাজয়ের পর বাংলাদেশ সুপার ফোরে উঠতে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, যেখানে জয় ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরেও দলের ব্যাটিং লাইনআপের ব্যর্থতা এবং বোলিং আক্রমণের দুর্বলতা তাদের বিপদে ফেলেছে।
১৬৫ বার পড়া হয়েছে