সর্বশেষ

অর্থনীতি

বিশ্বে শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশ হতে পারে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৩:৩৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
২০২৪–২৫ বাণিজ্য বছরের (আগস্ট–জুলাই) তুলা আমদানির পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশ চলতি বছর চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বে শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশে পরিণত হতে পারে, এমন দাবি করেছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)।

করোনার পূর্ববর্তী সময় ও পরবর্তীতে একাধিকবার বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশ।

গত সপ্তাহে প্রকাশিত ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এই বাণিজ্য বছরের শেষ নাগাদ ৮০ লাখ বেল তুলা আমদানি করতে পারে, যা পূর্ববর্তী পূর্বাভাসের তুলনায় প্রায় ২ লাখ বেল বেশি। ২০২৩–২৪ বাণিজ্য বছরে বাংলাদেশ ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার বেল তুলা আমদানি করেছে। এক বেল তুলার মান ৪৮০ পাউন্ড বা ২১৮ কিলোগ্রাম (কেজি)।

তবে, গ্যাস সংকটের কারণে দেশের অধিকাংশ বস্ত্রকল পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন বস্ত্রকল মালিকরা। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে এবং দেশের সুতা উৎপাদনকারীরা ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। ফলে ভারত থেকে সুতা আমদানির পরিমাণ বেড়েছে।

ইউএসডিএ পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বাণিজ্য বছরে বিশ্বব্যাপী ৪ কোটি ২৪ লাখ বেল তুলা আমদানি হতে পারে, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশই আসবে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে। চীনের তুলা আমদানি ৮০ লাখ বেল, ভিয়েতনামের ৭১ লাখ বেল, বাংলাদেশের ৭৮ লাখ বেল এবং পাকিস্তানের ৪৮ লাখ বেল হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের তুলা আমদানি ৭৩ লাখ বেল হতে পারে, আর বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানের আমদানি যথাক্রমে ৮০ লাখ, ৭৪ লাখ ও ৫০ লাখ বেল বাড়বে।

বিটিএমএর পরিচালক মোহা. খোরশেদ আলম বলেন, ইউএসডিএর পূর্বাভাস তাত্ত্বিকভাবে সঠিক হলেও বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। গ্যাস সংকটের কারণে বস্ত্রকলের উৎপাদন সক্ষমতার ৪০-৫০ শতাংশই ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই তুলার আমদানি যেমন পূর্বাভাস করা হয়েছে, তেমনটা হবে না। তার নিজের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত চার মাসে তার কারখানায় তুলা আমদানি করা হয়নি কারণ উৎপাদন সক্ষমতা কম।

ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১–২২ বাণিজ্য বছরে বাংলাদেশ ৮৪ লাখ বেল তুলা আমদানি করেছিল, কিন্তু চীনের আমদানি ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ বেল। এরপর থেকে চীনের আমদানি কমে যায়, তবে ২০২৩–২৪ সালে তা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এখন ২০২৪–২৫ বছরে চীনের তুলা আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টন তুলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। এর সাথে সুতা আমদানির পরিমাণও ছিল ১২ লাখ টন।

বিটিএমএর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল রয়েছে, যেগুলি নিট কাপড়ের ৮৫–৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে থাকে। বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল জানিয়েছেন, দেশে সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা থাকলেও গ্যাস সংকটের কারণে বস্ত্রকলগুলোর অর্ধেক বন্ধ রয়েছে বা কম উৎপাদন হচ্ছে। এর ফলস্বরূপ, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর সুতা সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন