সর্বশেষ

সারাদেশ

পাবনায় আ.লীগ নেতা ও আওয়ামী আইনজীবীদের সঙ্গে পিপির গোপন বৈঠক

এম এস রহমান, পাবনা
এম এস রহমান, পাবনা

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৭:৫১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পাবনা জজকোর্টের নবনিযুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সরোওয়ার খান জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি গোপনে আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এই বৈঠকের একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর, ফ্যাসিবাদবিরোধী আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র থেকে জানা গেছে, পাবনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) অ্যাডভোকেট গোলাম সরোওয়ার খান জুয়েলের বাসায় এই গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু এবং সাবেক নির্বাহী কার্যপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ বিশ্বাস হেলাল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সমিতির নির্বাচন ও ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের ছবিগুলো পরদিন (১৮ ফেব্রুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যা আইনজীবী মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় ফ্যাসিবাদবিরোধী আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ। পাবনা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন ও মাজেদুল ইসলামসহ অন্যান্য আইনজীবীরা এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলেন, ‘যিনি পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তিনি কীভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করলেন, যাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে?’

বৈঠক সম্পর্কে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু বলেন, “পিপি সাহেব আমাদের ডেকেছিলেন, আমাদের বন্দীদের জামিন বিষয়ক আলোচনা হয়েছিল। রাজনীতি বা নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”

অন্যদিকে, অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট গোলাম সরোওয়ার খান জুয়েল দাবি করেছেন, বৈঠকটি তার বাসায় নয়, বরং তার চেম্বারে হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি পিপি হিসেবে সবার কাছে উন্মুক্ত, তাই কাউকে বিরক্ত করতে হয়নি।”

এ বিষয়ে গণধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন এবং এরপর বিস্তারিত জানাবেন।

এছাড়া, অ্যাডভোকেট গোলাম সরোওয়ার খান জুয়েল পাবনার সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ঠিকাদারি পার্টনার। গত ১৭ নভেম্বর তাকে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, তবে তার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে স্থানীয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তবে তিনি এখনও পিপি পদে বহাল আছেন।

১৩৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন