কুয়েটে ছাত্র সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা, যুবদল নেতার বহিষ্কার, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বুধবার সকাল থেকে কুয়েটের প্রধান ফটকের আশেপাশে অবস্থান করছেন। অনেক শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবারকের সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে দেখা যাওয়া যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার রামদা হাতে থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে, দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে তার সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা, কুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী দেবাঞ্জন রায় জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং নিরাপত্তার কারণে তিনি হল ত্যাগ করছেন। তার মতে, একাডেমিক কার্যক্রম আরও কিছু দিন বন্ধ থাকতে পারে।
গতকাল, ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে এই সংঘর্ষ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং করে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছেন। তাদের দাবিগুলো হলো: কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা, হামলাকারীদের শাস্তি, উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ। তারা বেলা ১টার মধ্যে দাবি পূরণের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এবং দাবি পূরণ না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, কুয়েটের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি খুলনা প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (নর্থ) মো. নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
১১৫ বার পড়া হয়েছে