খালেদা জিয়াসহ নাইকো দুর্নীতি মামলার সকল আসামি খালাস

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক এবং নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। সেই অনুযায়ী, নির্ধারিত দিনে আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে চুক্তি করে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

২০০৮ সালের ৫ মে, দুদক খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এই মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।