সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেন, তিস্তার পানি দেন: ভারতকে মির্জা ফখরুল

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১:৫৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি তারা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়, তবে প্রথমে তিস্তার পানি দিতে হবে এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
সোমবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা রেলসেতু এলাকায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তিস্তা নদীই শুধু নয়, ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীর মধ্যে প্রতিটির ওপরই বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এসব বাঁধ দিয়ে পানি তুলে নিয়ে যাওয়ার ফলে ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, অথচ বাংলাদেশের কৃষকরা তাদের জমিতে পানি না পেয়ে ধান কিংবা অন্য ফসল ফলাতে পারছেন না। ফলে স্থানীয় জনগণ তাদের জীবন ও জীবিকা থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হয়েছে, এবং বিশেষ করে মাছ ধরার পেশায় যুক্ত জেলেরা তাদের জীবিকা উপার্জন করতে পারছেন না।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের উদ্বোধনী দিনে প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলু উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু।
একই মঞ্চে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কন্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক এবং নদীপারের স্থানীয় নেতা নুর বকস।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা এবং কুড়িগ্রাম জেলার ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তিস্তাপারের স্থানীয়রা তাদের দাবি আদায়ের জন্য এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, এবং দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কর্মসূচির স্থানগুলো জনসমুদ্রে পূর্ণ হয়ে উঠছে।
১৩১ বার পড়া হয়েছে