বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন শুরু হচ্ছে সোমবার 

এ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে। এই প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

অন্যদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলও সম্মেলনে অংশ নেবে। এ দলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন।

সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো হলো: সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, সীমান্ত হত্যা, আহত, আটক, অপহরণ বন্ধ করা; ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান প্রতিরোধ করা; আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশ, বিশেষত ভারত সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধ; সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া এবং অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করা; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত চারটি সীমান্তবর্তী খালের বর্জ্য পানি অপসারণের জন্য উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদী ও রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্পের অবস্থান ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে তথ্য বিনিময়; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ।

চার দিনব্যাপী ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে, ২০ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন শেষ হবে এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলন থেকে দেশে ফিরবে।