সর্বশেষ

সারাদেশ

যারা ইসলাম ও কোরআনের কথা বলে তারা ধর্ম ব্যবসায়ী নয় : আজহারি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ২:৩২ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারি পবিত্র কোরআনের তাফসির মাহফিলে বলেন, "এ দেশের প্রকৃত পরিচয় হলো ইসলাম। যারা ইসলামের কথা বলে, যারা কোরআন নিয়ে আলোচনা করে, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী নয়।

আলেমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ঠিক নয়। আলেমবিদ্বেষী হওয়া অর্থে একসময় পৃথিবীও ধ্বংস হবে, আখেরাতও শেষ হয়ে যাবে। আমাদের নিজেকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো উচিত নয়।"

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে এক বিশাল তৌহিদি জমায়েতের সামনে এই বয়ান করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, "ইসলাম ছাড়া আমরা কিছুই মানি না, ইসলামবিরোধী কোনো মতবাদ আমাদের গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলাম থাকবে, ইটের নিচে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও ইসলাম কখনো মরে না। ইসলাম একটি চারা বীজের মতো, একবার মাটিতে বপন করলে তার শাখা-প্রশাখা আকাশে উঠে যায়।"

ড. আজহারি বক্তব্যে বিশ্বাসের গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "বিশ্বাস পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। বিশ্বাস ছাড়া সংসারের কোনো সম্পর্ক টিকে থাকতে পারে না। বিশ্বাসের ওপরই পৃথিবী টিকে আছে। ঈমান ছাড়া কোনো নেক আমল গ্রহণযোগ্য নয়। যারা ঈমান এনেছে, তারাই সফল। ঈমান হলো সফলতার মাপকাঠি।"

মিথ্যার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন তিনি। "মিথ্যা একটি মহাপাপ," বলেন তিনি। "মোবাইল ফোনের কারণে এখন মিথ্যা আরো বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের অনেকেই মিথ্যা বলি, আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিই। তবে আমার নবী (সা.) জীবনে কখনো মিথ্যা বলেননি। মিথ্যাবাদীদের সমর্থন করা যাবে না, কারণ সত্য মানুষকে পুণ্যের পথে পরিচালিত করে, আর মিথ্যা পাপের পথে নিয়ে যায়।"

ড. আজহারি আরও বলেন, "ধৈর্যশীল নারী ও পুরুষকে আল্লাহ পছন্দ করেন। বিপদে ধৈর্যধারণ করাই শক্তি। ধৈর্যই ফলের সঙ্গে সঙ্গী, আর যারা ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন।"

এদিন, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মানুষের ভিড় এতটাই ছিল যে, মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং অস্থায়ীভাবে একটি টাওয়ার স্থাপন করতে হয়। আয়োজকরা ১৬ একর মাঠ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বিশাল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। এ অনুষ্ঠান সফল করতে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও সম্পৃক্ত ছিল।

মাহফিলে দুই লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল, অজুখানা, ওয়াশরুম, খাবার ও পানি ব্যবস্থাসহ নানা ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার ভিডিপি সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। মাহফিলটি ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলেছিল, যেখানে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

এদিন, শতবর্ষী আলেম হাফেজ মাওলানা নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় বিভিন্ন ইসলামি চিন্তাবিদ ও নেতারা মাহফিলে বক্তব্য রাখেন।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন