ইউনূসের আমিরাতের প্রতি আহ্বান: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও অধিক কর্মী নিয়োগ

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত দুই দিনের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে (World Governments Summit) অংশগ্রহণের সময় ইউএই-র কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান যে এই বৈঠকগুলোতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বাণিজ্য ও ব্যবসার প্রসার, চট্টগ্রাম বন্দরে ইউএই-এর বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষাখাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস ইউএই-এর কোম্পানিগুলোকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানান। ইউএই-এর বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলে ড. ইউনূস ইউএই-এর ব্যবসার জন্য একটি বিশেষ শিল্প পার্ক স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন।

ইউনূস ইউএই-এর বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলেন যে ইউএই-এর কোম্পানিগুলো স্বল্প খরচে শ্রম সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি ‘হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

জবাবে, ইউএই-এর বাণিজ্যমন্ত্রী জানান যে তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান।

এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোর্শেদ।

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণ শেষে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। দুবাই বিমানবন্দরে ইউএই-এর ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমদ বেলহৌল আল ফালাসি তাঁকে বিদায় জানান।

এই ভিন্ন উপস্থাপনাটি সংবাদটির মূল বিষয়বস্তু ঠিক রেখে আরও সহজবোধ্য এবং ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে।